প্যারিস অলিম্পিকের দ্রুততম মানবী সেন্ট লুসিয়ার আলফ্রেড

প্যারিস, ৪ আগস্ট ২০২৪ (বাসস/এএফপি) : প্যারিস অলিম্পিকের দ্রুততম মানবী হয়েছে সেন্ট লুসিয়ার জুলিয়েন আলফ্রেড। ক্যারিবিয়ান কোন অঞ্চল থেকে এই প্রথম অলিম্পিকে স্বর্ণ জয় করে ইতিহাস রচনা করেছে আলফ্রেড।

প্যারিসের স্তাদে দি ফ্রান্সে বৃষ্টি¯œাত দিনে অলিম্পিকের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্টে ১০০ মিটারের দিকে চোখ ছিল ক্রীড়াপ্রেমীদের। ২৩ বছর বয়সী আলফ্রেড ১০০ মিটারের বিশ^ চ্যাম্পিয়ন মার্কিন তারকা এ্যাথলেট শা’কারি রিচার্ডসনকে হতবাক করে দিয়ে ১০.৭২ সেকেন্ডে টাচলাইন স্পর্শ করে স্বর্ণ জয়ের কৃতিত্ব দেখান।

শুরু থেকেই আলফ্রেড রিচার্ডসনের থেকে এগিয়ে ছিলেন। ১০.৮৭ সেকেন্ডে প্রতিযোগিতা শেষ করে রির্চাডসনকে রৌপ্য পদক নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আরেক এ্যাথলেট মেলিসা জেফারসন ১০.৯২ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছেন।

১৯৯৬ সালে  গেইল ডেভার্সের পর প্রথম মার্কিন এ্যাথলেট হিসেবে ১০০ মিটারে স্বর্ণ জয়ের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট ফেবারিট ছিলেন রিচার্ডসন। কিন্তু ২৪ বছর বয়সী টেক্সাসের এই দৌড়বিদের স্বপ্ন আলফ্রেডের দূরন্ত জয়ের কাছে ফিকে হয়ে যায়।

২০১৩ সালে মৃত্যুবরণ করা বাবার প্রতি আলফ্রেড তার এই স্বর্ণ পদক উৎস্বর্গ করেছেন। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল অলিম্পিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার। এ সম্পর্কে আলফ্রেড বলেন, ‘বাবা বিশ^াস করতেন একদিন আমি স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো। গত বছর তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় মুহূর্তটি তিনি দেখে যেতে পারেননি। কিন্তু আমি জানি অলিম্পিয়ান হিসেবে মেয়েকে দেখতে পেয়ে তিনি যেখানেই আছেন থাকুক না কেন সেখান থেকেই খুশী হয়েছেন। ছোটবেলায় আমার কোন রানিং শু ছিলনা। স্কুল ইউনিফর্ম পড়ে আমি দৌড়ে অংশ নিতাম, সব জায়গায় দৌড়ানোর চেষ্টা করতাম।’

অলিম্পিকের এই বিজয়ে আলফ্রেড আশা করেন এর মাধ্যমে সেন্ট লুসিয়ার ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডের সুযোগ সুবিধার উন্নতি হবে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের সুযোগ সুবিধা বেশ সীমিত। নির্ধারিত কোন স্টেডিয়াম আমাদের জন্য বরাদ্দ নেই। আমি সত্যিকার অর্থেই আশা করছি এই স্বর্ণ পদক দেশের তরুণদের উৎসাহিত করবে ও সেন্ট লুসিয়ায় একটি নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণে সহায়তা করবে। মনে প্রাণে আশা করি সেন্ট লুসিয়ায় যেন এ্যাথলেটিকসের  উন্নতি হয়।’

সেন্ট লুসিয়া অলিম্পিকের ইতিহাসে এই প্রথম কোন পদক জয়ের কৃতিত্ব দেখালো। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মত তারা অলিম্পিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেয়েছিল।

এটা আলফ্রেডের অবিশ^াস্য একটি পারফরমেন্স ছিল। সেমিফাইনাল রিচার্ডসনকে টপকে ১০.৮৯ সেকেন্ডে আলফ্রেড প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। কার্যত সেমিফাইনাল থেকে রিচার্ডসন সতর্ক বার্তা পেয়ে গিয়েছিলেন। আলফ্রেডকে তিনি সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনাল কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এক সেকেন্ডের জন্য পিছনে ফেলতে পারেননি।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

thirteen − one =