প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে নিউ ইয়র্ক প্রবাসীদের মতবিনিময়

ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী নিউ ইয়র্ক প্রবাসী লেখক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সুধীজনের সঙ্গে এক ‘আন্তরিক সন্ধ্যায়’ মিলিত হন। নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে শুক্রবার এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয় বলে আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তৌফিক ইসলাম শাতিল, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণসহ কম্যুনিটির বিভিন্ন অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী তার বক্তব্যে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা ও গভীরতা উল্লেখপূর্বক বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে সকলকে নিয়ে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও  শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করে পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে তিনি সেগুলোর চর্চা অব্যাহত রাখা এবং যুক্তরাষ্ট্রের  মূলধারার মধ্যে  প্রসারের মাধ্যমে “সাংস্কৃতিক কূটনীতি” জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপট উল্লেখপূর্বক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।

ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রবাসীদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণে তার  প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রবাসীদের সেবার মান সমুন্নত রাখার  আহবান জানান।

মতবিনিময়কালে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তিনি তাদের বিভিন্ন মন্তব্য ও প্রশ্নের জবাব দেন এবং স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে  বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিরাজমান কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর আলোকপাত করেন। নতুন দায়িত্বভার গ্রহন করায় তিনি উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানান। শিক্ষা ও সংস্কৃতির মত দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উপদেষ্টার দায়িত্ব ড. কামাল  আবদুল নাসের চৌধুরীর মত  একজন  যোগ্য ব্যক্তিকে অর্পণ করায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তৌফিক ইসলাম শাতিলও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। মনোমুগ্ধকর আবৃত্তি, সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে তোলে। সকলের অংশগ্রহনে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

19 − 11 =