টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশে কৃষি উৎপাদনের পাশাপাশি কৃষিপণ্যের বিপণণ ব্যবস্থায় স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই জরুরি।
আজ বৃহস্পতিবার সিরডাপ মিলনায়তনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট কৃষির ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। কৃষি তথ্য সার্ভিস এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে কৃষিকে স্মার্ট কৃষিতে রূপান্তর করতে হবে। কৃষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ড্রোন, রোবট,প্রভৃতি উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে।
এছাড়া, উৎপাদন খরচ কমিয়ে ফলন বাড়ানো, উৎপাদন পরবর্তী অপচয় রোধ, শ্রমিক সংকট মোকাবেলা, সার, বালাইনাশকের পরিমিত ব্যবহার ও সেচ দক্ষতা বাড়াতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে স্মার্ট কৃষির কোন বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, ‘কৃষি সম্প্রসারণ কর্মীরা আদর্শ কর্মী। আমরা দু’কোটি মানুষকে স্মার্ট কার্ড দিবো। স্মার্ট ফার্মিংয়ের জন্য বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে চুক্তি হয়েছে।
কৃষিপণ্য রপ্তানি প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘সারা বিশ্বে বাংলাদেশের কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য আধুনিক ল্যাব, প্যাকিং হাউজসহ যত রকমের অবকাঠামো প্রয়োজন, আগামী ২ বছরের মধ্যে তা তৈরি হয়ে যাবে। কৃষি পণ্য রফতানি করার সক্ষমতা আমাদের এখনো গড়ে উঠেনি। আমাদের কৃষি উৎপাদন ভালো। কিন্তু রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের ঘাটতি রয়েছে। আশা করি আগামী দুই বছরের মধ্যে অন্যান্য দেশে পণ্য পরিবহণের সক্ষমতা আমরা গড়ে তুলতে পারবো।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক সুরজিত সাহা রায়। এছাড়া বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আহসান উল্লাহ। তিনি বলেন, দেশে কৃষিপণ্যের বিপণন ব্যবস্থায় স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই জরুরি। ব্লক চেইন ও বিভিন্ন রকমের অ্যাপস ব্যবহার করতে হবে। তাহলে, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমে যাবে এবং কৃষকেরা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন।
বাসস