শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর নাটক সরণির মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে নাট্যদল প্রাচ্যনাট দলের নতুন নাটক ‘আগুনযাত্রা’ মঞ্চায়ন হবে। ভারতের নাট্যকার মহেশ দাত্তানির লেখা ‘সেভেন স্টেপ এরাউন্ড দ্য ফায়ার’ থেকে অনুবাদ করেছেন শহীদুল মামুন। রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম।
উমার গবেষণার বিষয় হিজড়া বা রূপান্তরকামী মানুষ অথবা তৃতীয় লিঙ্গ। এই গবেষণার সূত্র ধরে সে কমলার হিজরার হত্যাকাণ্ডের সূত্র খুঁজে পায়। কমলাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে এবং এই হত্যাকাণ্ডের জন্য আনারকলি নামে আরেক হিজড়া হাজতবাস করছে। উমার স্বামী জেল পুলিশে উধ্বর্তন কর্মকর্তা, সেই সুবাদে আনারকলির সাথে সাক্ষাৎ করা সহজ হয় উমার এবং আরো কিছু সুত্র খুঁজে খুঁজে সে হিজড়াদের ডেরায় প্রবেশ করে। উমার এই গবেষণা শুধু গবেষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, সে জড়িয়ে পরে এই সম্প্রদায়ের মানুষদের সাথে মায়া আর দায়িত্বের বন্ধনে।
উমার হারিয়ে যাওয়া এক ভাই বা বোন তৃতীয় লিঙ্গের। উমা যেনো তাকেও খুঁজে ফেরে। ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করতে গিয়ে উমা অনেক অজানা অচেনা জগত আবিষ্কার করে-সেই সাথে কমলার হত্যাকাণ্ডের রহস্যও উদঘাটিত হয়। লিঙ্গ পরিচয় আড়াল করে কমলাকে কোনো এক মন্দিরে পুরোহিতের অজ্ঞাতে মন্ত্রীপুত্র সুব্বু বিয়ে করে। সুব্বুর এই বিয়ের খবর মন্ত্রীর কাছে পৌঁছালে তার আভিজাত্যে আঘাত প্রাপ্ত হয়। দেহরক্ষী সালিমের মাধ্যমে কমলাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ব্যবস্থা করে সুব্বু-কে সম্ভ্রান্ত পরিবারের সুপাত্রীর সাথে আবার বিয়ের বন্দোবস্ত করে। বিয়ের লগ্ন শেষ হতেই সুব্বু কমলা হত্যার ঘটনা জানতে পারে এবং নিজে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
এই নাটকে অভিনয় করেছে শাহেদ আলী, কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন, চেতনা রহমান ভাষা, শারমিন আক্তার শর্মী, প্রদ্যুৎ কুমার ঘোষ, মো. আব্দুর রহিম খান, রকি খান, তানজি কুন, মো. শওকত হোসেন, ডায়ানা ম্যারলিন, ফয়সাল সাদী, আহমেদ সাকি, এ কে এম ইতমাম, তমাল, রানা নাভেদ, উচ্ছাস তালুকদার।
‘আগুনযাত্রা’র মঞ্চ ও আলো পরিকল্পনা করেছেন মো. সাইফুল ইসলাম। সঙ্গীত পরিকল্পনায় রাহুল আনন্দ, কোরিওগ্রাফিতে স্নাতা শাহরিন, প্রপস পরিকল্পনায় তানজি কুন, পোশাক পরিকল্পনায় আফসান আনোয়ার এবং ভিডিও নির্মাণ ও প্রক্ষেপণে শাহরিয়ার শাওন ও রিপন কুমার দাস ধ্রুব।