ফ্রান্সের চেয়ে সৌদি লিগ বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ: রোনাল্ডো

ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো বলেছেন বিশাল বাজেটের সৌদি পেশাদার লিগ ইতোমধ্যেই ফ্রান্সের শীর্ষ বিভাগ লিগ ওয়ানের থেকে উন্নত ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লিগ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। মাত্র এক বছর আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে আল নাসরে যোগ দেন রোনাল্ডো। দুবাইয়ে গ্লোবার সকার এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রোনাল্ডো এই মন্তব্য করেন। এই অনুষ্ঠানে পর্তুগীজ সুপারস্টার সেরা গোলদাতা ও বর্ষসেরা ফ্যান্স ফেবারিট খেলোয়াড়ের পুরস্কার অর্জণ করেছেন।

সৌদি পেশাদার লিগের মান কোন পর্যায়ে রয়েছে এই প্রশ্নের উত্তরে রোনাল্ডো বলেন, ‘সত্যি বলতে কি আমি মনে করি ফরাসি লিগের থেকেও

সৌদি লিগ এখন এগিয়ে গেছে। এটা একান্তই আমার নিজস্ব মতামত। ফরাসি লিগে দুই থেকে তিনটি দল ভাল মানের ফুটবল খেলে। কিন্তু সৌদিতে আমার কাছে মনে হচ্ছে, প্রতিযোগিতা বেশী। এনিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে। আমি এখানে এক বছর ধরে খেলছি, সে কারনেই আমি এখানকার মান সম্পর্কে জানি। সবকিছু জেনেই আমি এই মন্তব্য করছি। এখনো এই লিগে উন্নতির অনেক জায়গা আছে।’

গত বছর দেশের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) লিগের চারটি বড় ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেবার পর থেকেই আর্থিক ভাবে সৌদি লিগ বেশ লাভবান হয়েছে। আর তাই প্রতিফলন পড়েছে ট্রান্সফার মার্কেটে। রোনাল্ডো আল নাসরে যোগ তেবার পর থেকে ইউরোপের শীর্ষ বেশ কিছু খেলোয়াড় সৌদিতে পাড়ি জমান। বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে তারা বিভিন্ন

ক্লাবে যোগ দেন। যাদের মধ্যে অন্যতম রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা ও ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। এ সপ্তাহে অবশ্য চুক্তি বাতিল করে মাত্র ছয় মাসের মাথায় আল-ইত্তিফাক ছেড়ে আবারো ইউরোপে ফিরে গিয়ে আয়াক্সে যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের মিডফিল্ডার জর্ডান হেন্ডারসন। সেখানে মানিয়ে নিতে না পারার কারনে ইউরোপে ফিরে গেছেন হেন্ডারসন।

৩৮ বছর বয়সী রোনাল্ডো আল নাসরে ও পর্তুগালের হয়ে ২০২৩ সালে ৫৪ গোল করেছেন। ২০২৩ সালে তিনি পুরুষ ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে বছর শেষ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি ম্যানচেস্টার সিটির ট্রেবল জয়ী আর্লিং হালান্ডকে ছাড়িয়ে গেছেন। হালান্ড শুক্রবার বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড় ও স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ী এইতানা বোনমাতি বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয় করেছেন।

রোনাল্ডো বলেন, ‘এই মৌসুমে আমি সেরা গোলদাতার পুরস্কার জয় করেছিল। হালান্ডের মত তরুন খেলোয়াড়কে পিছনে ফেলে এই বয়সে এই পুরস্কার জয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। মানুষ যখন আমার উপর সন্দেহ দেখায় তখন আমার ভাল লাগে। তখনই আমি সাফল্য অর্জন করি। আমি সমালোচনার দ্বারা প্রভাবিত হই না।’

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

one × 4 =