বঙ্গলোক ‘রুপচাঁন সুন্দরীর পালা’ মঞ্চস্থ করেছে

রোববার শিল্পকলা অ্যাকাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে পরিবেশিত হয় ‘রুপচাঁন সুন্দরীর পালা’। এটি বঙ্গলোকের প্রথম নিরীক্ষাধর্মী প্রযোজনার ৬০তম পরিবেশনা। পালাটির রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন সায়িক সিদ্দিকী।

লোককাহিনী গভীরভাবে নাড়া দেয় সংস্কৃতিপ্রিয় বাঙালির হৃদয়ের গহীনে। আবহমান বাংলার রূপ, সুষমা ও কৃষ্টি-কালচার লোককাহিনীতে উপস্থাপিত হয় বলে প্রযুক্তির উৎকর্ষ এবং আকাশ সংস্কৃতির এই অবাধ যুগেও বাঙালির মনের গভীরে বিশাল এক জায়গা দখল করে আছে লোককাহিনী। আর সেই বিষয়কে মাথায় রেখেই বঙ্গলোক মঞ্চে এনেছে তাদের দর্শকনন্দিত পালা ।

পালার কাহিনীতে দেখা যায়, গ্রামের ১৬ বছরের যুবতী কন্যা রুপচাঁন সুন্দরী। যার প্রণয় হয় মজলিস পুর গ্রামের যুবক সুজনের সঙ্গে। মা হারা এই মেয়ের ঘরে রয়েছে সৎ মা। রুপচাঁন আর সুজনের প্রেমের পর তাদের বিয়ে হয়। রুপচাঁনের সৎ মায়ের ভাই-এর ছেলে সেফা মিয়ার পরামর্শে রুপচাঁনের মা বিয়ের দিন রুপচাঁন আর সুজনকে বাড়িতে রেখে দেন। বাসর রাতে সুজনকে খাওয়ানোর জন্য রুপচাঁনের মা তার হাতে তুলে দেন বিষ মিশানো সরবতের গ্লাস।

এদিকে, বাসর রাতেই সেই বিষ মিশানো সরবত খেয়ে সুজন মারা যান। ওই রাতেই রুপচাঁনের বাবাকে মেরে কন্যাকে তুলে নিয়ে যান দুর্বৃত্ত সেপামিয়া। তার নিজের বাড়িতে আটক করে রেখে রুপচাঁনকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যান। রূপচাঁন এই লজ্জা সইতে না পেরে করেন আত্মহত্যা। এভাবেই এগোতে থাকে ‘রুপচাঁন সুন্দরী পালা’র কাহিনী।

সম্পূর্ণ কিশোরগঞ্জের ভাষায় রচিত এই পালায় বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- দোহার, সায়িক সিদ্দিকী, জিয়াউল হক সোহাগ, রাজীব রাজ, তানভীর হোসেন সামদানী, রবিন বসাক, সুব্রত, পলাশ হেনড্রি সেন, বিশ্বজীৎ বৈরাগী, তন্ময় ঘোষ, সাবরিনা আহমেদ, আমিনুল আশরাফ, কল্যান, মোরশেদ, সুমাইয়া, মাসুক, নীরব, শরীফ, অনুপম, মুকুল দত্ত, রাজীব রাজ, শামীমা শওকত লাভলী, কৃষ্টি, কামরুল হাসান ফেরদৌস ও ফজলে রাব্বী সূকর্ণ।

বাংলানিউজ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

16 − fourteen =