বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করতে কাজ করছে সরকার: সাবের হোসেন চৌধুরী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দেশের বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করতে কাজ করছে সরকার। বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। এখন থেকে সরকারের একাজে সহায়তার জন্য ঢাকার বস্তিগুলো থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করবে ইউএসএআইডি। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ইউএসএআইডি ও ঢাকা কলিং এর প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে পরিবেশমন্ত্রী একথা বলেন। খবর বাসস।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সাল নাগাদ দেশে বিভিন্ন খাতে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদন হবে। ভবিষ্যতে শুধু শহর নয়, সকল এলাকার বর্জ্যইে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এগুলো সংগ্রহ করে সরকারি এবং বেসরকারিভাবে সার উৎপাদনের কাজ শুরু হবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘বর্জ্য থেকে মানসম্পন্ন সার পাওয়া গেলে আমরা আমদানি কেন করবো? বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন শুরু হলে সার আমদানি কমে যাবে। এতে আমাদের অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।’

তিনি বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ১শ’ কর্মদিবসের কর্মসূচির মধ্যে ন্যাশনাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়নের বিষয়টি অগ্রাধিকার পর্যায়ে আছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পুরো ইকোসিস্টেমের দিকে আমরা নজর দিচ্ছি। কিভাবে সেটার উন্নয়ন ও কার্যকর করা যায় তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। আপাতত কঠিন বর্জ্য বা সলিড ওয়েস্ট নিয়ে কাজ হবে। পর্যায়ক্রমে মনুষ্য বর্জ্য, ট্যানারি বর্জ্য, ই-বর্জ্য, মেডিক্যাল বর্জ্য নিয়েও কাজ হবে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিককেও পুনর্ব্যবহার করার উদ্যোগ নেয়া হবে। ভবিষ্যতের প্রয়োজন বিবেচনায় এখন থেকেই জায়গা চিহ্নিত করে জমি অধিগ্রহণ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পনা হাতে নেয়া হবে।

সাভারের ট্যানারির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সেখানকার বর্জ্য থেকে যে ক্রোমিয়াম পাওয়া যাচ্ছে তা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে বিষয়টির সুরাহা করতে চায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

sixteen − fourteen =