বাংলাদেশীদের জন্য ই-ভিসা চালু করবে থাইল্যান্ড

থাইল্যান্ড সরকার সাধারণ পাসপোর্টধারী বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ই-ভিসা পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, যা আগামী বছরের শুরুর দিকে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। খবর বাসস

আজ এখানে প্রাপ্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত ওরাউত পংপ্রাপাপান্ত বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে এক বৈঠকের সময় একথা জানান।

নতুন ই-ভিসা সুবিধা অনুযায়ী বাংলাদেশী নাগরিকরা দেশ থেকেই অনলাইনে ভিসা পাবেন যা থাইল্যান্ডে ভ্রমণ প্রক্রিয়া সহজতর করবে।

থাইল্যান্ড বিশ্বের ৬৯টি দূতাবাসে ই-ভিসা পরিষেবা চালু করার ফলে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য সুবিধা বেড়েছে।

রাষ্ট্রদূত পংপ্রাপাপান্ত আরও জানান, যেসব বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যেতে ইচ্ছুক, তারা ঢাকার থাই দূতাবাসের মাধ্যমে গন্তব্য থাইল্যান্ড ভিসার (ডিটিভি) জন্য আবেদন করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন।

ডিটিভি অনুযায়ী প্রতি ভিজিটে ছয় মাস অবস্থান করার সুযোগসহ ভিসার মেয়াদ পাঁচ বছর। উল্লেখ্য, এই ভিসা পাওয়ার জন্য ব্যাংককের বাংলাদেশী দূতাবাস থেকে সুপারিশপত্রের প্রয়োজন নেই।

বৈঠকে থাই কর্মকর্তা জরিমানা এড়াতে এজেন্টদের মাধ্যমে জমা দেওয়া নথির সত্যতা যাচাই করার জন্য বাংলাদেশী আবেদনকারীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরো সতর্ক করেন যে, ভিসা আবেদনে জালিয়াতি করে নথি জমা দেওয়া হলে কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে।

রাষ্ট্রদূত পংপ্রাপান্ত বলেন, এছাড়া, গত এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে স্বাক্ষরিত ভিসা অব্যাহতি চুক্তিটি ১৯ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। চুক্তি অনুযায়ী উভয় দেশের অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরা ভিসামুক্ত ভ্রমণ করতে পারবেন।

২০১৮ সাল থেকে কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসামুক্ত ভ্রমনের সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

15 − 3 =