বাংলাদেশের সাথে অব্যাহত অংশীদারিত্বের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে ভারত

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, দিল্লি বাংলাদেশের অগাস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে সম্পর্ক বিঘ্নিত করার কোনো কারণ খুঁজে পায়নি। নয়াদিল্লি ঢাকার সাথে পারস্পরিক কল্যাণমূলক সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে চায়। খবর বাসস।

মিশ্রি আজ এখানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সাথে সচিব পর্যায়ের পররাষ্ট্র দপ্তর পরামর্শ (এফওসি) বৈঠকের পরে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘এই বছরের আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে অবশ্যই আমাদের নেতৃত্বের মধ্যে যোগাযোগ ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) প্রথম বিশ্বনেতা যিনি প্রধান উপদেষ্টাকে (বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস) দায়িত্ব গ্রহণের সময় ফোন করেছিলেন। টেলিফোনে তাদের মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘এই পারস্পরিক-সুবিধাজনক সহযোগিতা আমাদের উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে অব্যাহত না থাকার কোন কারণ নেই। দিল্লি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ককে একটি জন-কেন্দ্রিক ও জনমুখী সম্পর্ক হিসাবে দেখতে চাই, যার মধ্যে মূল প্রেরণা শক্তি হিসাবে সকল জনগণের কল্যাণ রয়েছে।’

মিশ্রি বলেন, ভারতীয় সহায়তায় সম্পাদিত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে এবং ব্যবসা, বাণিজ্য, সংযোগ, পানি ও বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে পারস্পরিক-লাভজনক সম্পৃক্ততায় এ সম্পর্ক নৈমিত্তিকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সাথে তার আলোচনাকে তিনি ‘অকপট, বন্ধুত্বপূর্ণ, গঠনমূলক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ’ হিসাবে বর্ণনা করে বলেন, ‘এ বৈঠক আমাদের সম্পর্কের বিষয় পর্যালোচনা করা সুযোগ দিয়েছে এবং আমি এ সুযোগের প্রশংসা করি।’

তিনি বলেন, ‘ভারত এখন বাংলাদেশের সাথে একটি সুদূরপ্রসারী, অগ্রসর ও ইতিবাচক, গঠনমূলক ও পারস্পরিক কল্যাণকর সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।’

মিশ্রি বলেছেন, তারা সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ‘আমি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও কল্যাণের সাথে সম্পর্কিত উদ্বেগগুলো জানিয়েছি,’ উল্লেখ করেন তিনি।

ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, বৈঠকে ‘সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও কূটনৈতিক সম্পত্তির ওপর আক্রমণ’-এর কিছু দুঃখজনক ঘটনা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের আগরতলা মিশনে হামলা এবং কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনে জাতীয় পতাকার অবমাননার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই সকল ইস্যুতে সামগ্রিক গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি আশা করি এবং আমরা সম্পর্কটিকে ইতিবাচক, ভবিষ্যৎমুখী ও গঠনমূলক দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

three + fifteen =