বাংলাদেশে ‘ক্লিন ফিড’ সম্প্রচার করছে জি বাংলা

দুই সপ্তাহ পর বিজ্ঞাপন ছাড়াই বাংলাদেশে সম্প্রচারে ফিরেছে জনপ্রিয় ভারতীয় টেলিভশন চ্যানেল জি বাংলা। কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ শুক্রবার রাতে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, জি বাংলা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ‘ক্লিন ফিড’ পেয়ে পরিবেশকরা পরীক্ষামূলকভাবে সম্প্রচার শুরু করেছেন। বন্ধ থাকা বাকি চ্যানেলগুলোও পর্যায়ক্রমে সম্প্রচারে ফিরবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। কোয়াব সভাপতি আনোয়ার পারভেজ জানান, ঢাকায় পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু হলেও দেশের অন্যান্য এলাকায় তা শুরু হতে দুয়েকদিন লাগতে পারে।

অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপন প্রচার করে- এমন বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার করার সুযোগ বাংলাদেশের আইনে নেই। সেই নিয়ম বাস্তবায়নে সরকার কঠোর অবস্থানে গেলে পরিবেশক ও কেবল অপারেটররা গত ১ অক্টোবর জি বাংলা, স্টার জলসা, স্টার স্পোর্টসহ ৬০টির মত বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়।

কিন্তু ক্লিন ফিড দেয়- এরকম কিছু চ্যানেলও সে সময় বন্ধ রাখা হয়। পরে সরকারের হস্তক্ষেপে সেসব চ্যানেল আবার দেখানো শুরু করেন পরিবেশকরা।  এবার জি বাংলারও বাংলাদেশে বিজ্ঞাপন ছাড়া ‘পরীক্ষামূলক’ সম্প্রচারে ফিরল।

ঢাকার ধানমন্ডি, মিরপুর ও রামপুরার বনশ্রী আবাসিক এলাকা থেকে কয়েকজন দর্শক জানান, তারা দুই সপ্তাহ পর টেলিভিশনে জি বাংলার অনুষ্ঠান দেখতে পারছেন। দর্শকদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন, টেলিভিশনে জি বাংলার সম্প্রচার বন্ধ থাকলেও এর মধ্যে তারা ইউটিউবে পছন্দের সিরিয়ালগুলো ঠিকই দেখে নিয়েছেন।

কোয়াবের সাবেক মহাসচিব নিজাম উদ্দিন মাসুদ জানান, দুয়েক দিনের মধ্যে ভারতের কালারস গ্রুপের (কালারস বাংলা) চ্যানেলগুলো সম্প্রচারে আসার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।“জি বাংলা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরিবেশকদের ক্লিন ফিড দিচ্ছে; পরে আমরা সম্প্রচার করছি। তবে কালারস গ্রুপ আইপির মাধ্যমে ‘ক্লিন ফিড’ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।”

সম্প্রচার প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ‘ক্লিন ফিড’ পেলে তা সম্প্রচারে তেমন কোনো জটিলতা নেই; তবে ‘ক্লিন ফিড’ না পেলে বিজ্ঞাপন ছেঁটে প্রচারের জন্য বাড়তি প্রযুক্তির প্রয়োজন হয়।

বিডিনিউজ

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eighteen − 10 =