মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পালানোর সময় তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।
এর আগে, ভারতের দিল্লিতে পালানোর সময় সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলককেও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গত এক সপ্তাহ ধরেই সরকারের অনেক প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপি গা-ঢাকা দিতে শুরু করেন। এর মধ্যে অনেকে সুযোগ বুঝে দেশ ছাড়তে পারলেও আটকা পড়েন অনেক মন্ত্রী-এমপিরা। তারা দেশে থাকলেও কোথায় আছেন খোঁজ পাচ্ছেন না কেউ। বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে মোবাইল ফোনও।
মূলত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার হঠাৎ পদত্যাগ ও পালিয়ে ভারত যাওয়ার পর থেকেই বেকায়দায় পড়েন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এসব মন্ত্রী-এমপিরা। তবে এর আগে যারা পরিস্থতি আঁচ করতে পেরেছিলেন তারা শনিবার থেকেই বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাতে শুরু করেন। এসময় অনেক মন্ত্রী-এমপির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও খোঁজ মেলেনি কারো।
তবে শনিবার বিকেল থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এদিন আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শেষবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেন তিনি। আরেকটি সূত্র জানায় বর্তমানে নয়াদিল্লিতে আছেন দলটির প্রভাবশালী এই নেতা।
আলোচিত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে সোমবার সকালের পরে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের। এদিন সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবন ভাঙচুর হলেও তিনি ঠিক কোথায় ছিলেন জানা যায়নি।
এর আগে, রোববার আওয়ামী লীগ সরকারের বেসরকারি শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বিমানযোগে দেশ ছাড়েন। তবে তারা কে কোন দেশে গেছেন তা জানা যায়নি।