বিয়ে করেছেন নাজিয়া হক অর্ষা

বিয়েটা আগেই সেরে ফেলেছিলেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী নাজিয়া হক অর্ষা। কিন্তু অভিনেত্রী বিয়ের খবর জানালেন। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বামীর সঙ্গে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেন অর্ষা। ক্যাপশনে লিখেন, ‘প্রকৃতি আর পরিবার নিয়ে এখন আমি থেকে আমরা। আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা বিবাহিত।’

অভিনেত্রী বিয়ে করেছেন নির্মাতা-অভিনেতা মোস্তাফিজুর নূর ইমরানকে। জানা গেছে, দুই থেকে তিন মাস আগে দুই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে ঘরোয়া আয়োজনে বিয়েটা সেরেছেন তারা।

চরকি ফ্লিক ‘জাহান’ ও পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘সাহস’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় জুটি বেঁধেছিলেন অর্ষা ও মোস্তাফিজুর নূর ইমরান। ‘সাহস’-এ এই জুটিকে দেখা গিয়েছিলো স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে৷ প্রশংসিত সেই সিনেমার পর চরকির শর্টফিল্ম জাহানেও স্বামী-স্ত্রীর চরিত্র রূপদান করেছিলন এই দুই তারকা! এবার বাস্তব জীবনেই স্বামী-স্ত্রী হওয়ার খবর দিলেন অর্ষা!

নাজিয়া হক অর্ষা লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে পদার্পণ করেন। তারপর থেকে টেলিভিশন নাটকে সরব উপস্থিতি। ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’, ‘১৯৭১ সেই সব দিন’, ‘সাবরিনা’সহ বেশ কয়েকটি আলোচিত সিনেমা সিরিজে অভিনয় করেছেন অর্ষা। দুই দশকের ক্যারিয়ারে শতাধিক টিভি নাটকে পাওয়া গেছে তাকে। ‘মহানগর’ সিরিজের পুলিশ কর্মকর্তা মলয় চরিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছেন মোস্তাফিজুর নূর ইমরান। ‘কাইজার’, ‘জাহান’সহ বেশ কয়েকটি কনটেন্টে অভিনয় করেছেন তিনি।

এক গণমাধ্যমে  লাক্স তারকা অর্ষা বলেন, বিয়ে করলেও এই আনন্দের খবরটি জানানোর মতো পরিস্থিতিতে ছিলাম না। কারণ, আপনারা জানেন, আমার মা অনেকদিন ধরে ভীষণ অসুস্থ। গত বছর উনার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। অনেকদিন আইসিউতে ছিলেন। উনার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। কিছুদিন একটু ভালো থাকলে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন, হাসপাতালে নিতে হয়। এসবের মধ্য দিয়েই আমাকে যেতে হচ্ছে।

 

তিনি আরও বলেন, বলতে পারেন, বিয়েটা অনেক মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে করতে হয়েছে। দুই পরিবার থেকেই সবার সম্মতিক্রমে বিয়েটা হয়েছে। সবাই চাচ্ছিলেন আপাতত কাবিন হয়ে যাক, পরে না হয় অনুষ্ঠান করা যাবে। মায়ের দিক চিন্তা করেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া। পরিবারের সবাই চাচ্ছিলেন।

অর্ষা বলেন, ২০২০ সালে আমাদের পরিচয় হয়। এরপর একসঙ্গে বেশ কিছু কাজ করেছি। দুই বছর পর্যন্ত আমাদের সম্পর্কটা শুধু বন্ধুত্ব পর্যন্তই ছিল। আমাদের প্রেমটা খুবই অল্প সময়ের। আমি যখন আমার মাকে নিয়ে দিশেহারা ঠিক সেসময় আমার সাপোর্ট হয়ে পাশে থেকেছে ইমরান। সে সরাসরি আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। মায়ের অসুস্থতা, সবকিছু মিলিয়ে আমি এখনই সেরকম কিছু চাচ্ছিলাম না কিন্তু যেহেতু আমাদের দুই পরিবারেই চেনা-জানা-শোনা আছে সবার সম্মতিতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। একজন জীবনসঙ্গী হওয়ার মতো সব গুণই আমি তার মধ্যে পেয়েছি, সে-ও নিশ্চয়ই তাই। সে কারণেই কিন্তু আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন এবং অবশ্যই আমার মায়ের জন্যও।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eighteen − 18 =