বোলারদের পর মিরাজের ব্যাটিং নৈপুন্যে প্লে-অফে খুলনা

বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যের পর মেহেদি হাসান মিরাজের অধিনায়কোচিত ইনিংসের উপর ভর করে শেষ দল হিসেবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটের প্লে-অফ নিশ্চিত করলো খুলনা টাইগার্স। আজ লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে খুলনা ৬ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালসকে। ৫৫ বলে ৭৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মিরাজ।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট আছে খুলনার। ১২ ম্যাচে খুলনার সমান ১২ পয়েন্ট আছে দুর্বার রাজশাহীর। রান রেটে রাজশাহীর চেয়ে এগিয়ে থাকায় চতুর্থস্থানে উঠলো খুলনা। খুলনার রান রেট ০.১৮৪ এবং রাজশাহীর রান রেট -১.০৩০। খুলনার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল, রংপুর রাইডার্স ও চট্টগ্রাম কিংস। ১২ ম্যাচে ৩ জয় ও ৯ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠস্থানে থেকে বিপিএল শেষ করলো ঢাকা।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬ বলে ২৯ রান করেন ঢাকার দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও লিটন দাস। ১টি করে চার-ছক্কায় ১০ রান করা লিটনকে শিকার করে খুলনাকে প্রথম উইকেট উপহার দেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ।

লিটনকে হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে হাবিবুর রহমান সোহানের সাথে ১৬ বলে ২৪ এবং তৃতীয় উইকেটে ফারমানুল্লাহকে নিয়ে ৪১ বলে ২৮ রান যোগ করেন তানজিদ। ২৮ বলে এবারের আসরে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তানজিদ।

১৩তম ওভারের শেষ বলে উইলিয়াম  বোসিস্তোর বলে আউট হন তানজিদ। ১টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৩৭ বলে ৫৮ রান করেন তানজিদ। এই ইনিংস খেলার পথে এবারের আসরে সর্বোচ্চ রানের মালিক হন তিনি। ১২ ম্যাচে ১টি শতক ও ৪টি অর্ধশতকে ৪৮৫ রান করেছেন তানজিদ।

তানজিদ ফেরার পর দ্রুত ৩ উইকেট হারায় ঢাকা। এতে ৯৪ রানে সপ্তম উইকেট পতন হয় ঢাকার।

অষ্টম উইকেটে ১৫ বলে ২৬ রানের জুটি গড়ে ঢাকার সম্মানজনক স্কোরের পথ তৈরি করেন সাব্বির রহমান ও মেহেদি হাসান রানা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৩ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় সাব্বির ১৭ বলে ২০ এবং রানা ১টি করে চার-ছক্কায় ১১ বলে ১৩ রান করেন।

হাসান মাহমুদ ৫ রানে এবং বোসিস্তো ১০ রানে ২টি করে উইকেট নেন।

১২৪ রানের টার্গেটে তৃতীয় ওভারের মধ্যে ২ উইকেট হারায় খুলনা। আগের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা মোহাম্মদ নাইম ও তিন নম্বরে নামা আফিফ হোসেন খালি হাতে সাজঘরে ফিরেন। দুই উইকেটই নেন মুস্তাফিজুর রহমান।

দল শুরুতে চাপে পড়লেও পাল্টা আক্রমনে ঢাকার বোলারদের উপর চড়াও হন অধিনায়ক মিরাজ। ৩টি করে চার-ছক্কায় মিরাজের ২৫ বলে ৩৯ রানের উপর ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৫৩ রান পায় খুলনা।

তৃতীয় উইকেটে অ্যালেক্স রসকে নিয়ে ৪৩ বলে ৬৮ রান যোগ করেন মিরাজ। ছক্কা মেরে ৩৩ বলে টি-টোয়েন্টিতে সপ্তম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান মিরাজ।

দলীয় ৮২ রানে রস আউট হলে বোসিস্তোকে নিয়ে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান মিরাজ। দলের জয় থেকে ৪ রান দূরে থাকতে আউট হন বোসিস্তো।

এরপর মোহাম্মদ নাওয়াজকে নিয়ে খুলনার জয় নিশ্চিত করেন মিরাজ। ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৫ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। রস ২২, বোসিস্তো ১৮ ও নাওয়াজ অপরাজিত ৬ রান করেন।

মুস্তাফিজ ১৬ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

fifteen − 7 =