ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম দিনই ১৯১ রানে অলআউট বাংলাদেশ

ব্যাটিং ব্যর্থতায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই ৬১ ওভারে ১৯১ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন মোমিনুল হক। খবর বাসস।

জবাবে দিন শেষে ১৪.১ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ৬৭ রান করেছে জিম্বাবুয়ে। ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ১২৪ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা। আলোকস্বল্পতায় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা কিছুটা আগেই শেষ হয়।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩১ রানের সূচনা করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। এরপর ১ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরেন জয় ও সাদমান।

নবম ওভারের চতুর্থ বলে জিম্বাবুয়ের পেসার ভিক্টর নিয়ুচির বলে গালিতে ব্রায়ান বেনেটকে ক্যাচ দেন ১টি চারে ১২ রান করা সাদমান। ১১তম ওভারে বাংলাদেশের আরেক ওপেনারকেও সাজঘওে পাঠান নিয়ুচি। ওভারের চতুর্থ বলে নিয়ুচির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জয়। ২টি চারে ১৪ রান করেন তিনি।

৩২ রানে ২ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন মোমিনুল হক ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংসের শুরুতে পেসার ব্লেসিং মুজারাবানির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান মোমিনুল।

জীবন পেয়ে সাবধানে খেলে শান্তর সাথে ৮১ বলে ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে প্রথম সেশন শেষ করেন মোমিনুল। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে শুরুতে বিচ্ছিন্ন হন তারা। পেসার ব্লেসিং মুজারাবানির শর্ট বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন ৬টি চারে ৪০ রান করা শান্ত।

দলীয় ৯৮ রানে শান্তর বিদায়ে ক্রিজে মোমিনুলের সঙ্গী হন মুশফিকুর রহিম। জুটি গড়ার চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু ২৫ রান যোগ হবার পর বাঁ-হাতি স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজার শর্ট বলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে মাত্র ৪ রানে ফিরেন মুশফিক।

মুশফিকের আউটের পর বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের। ১০ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় তারা। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে ক্রিজে সেট হয়ে মাসাকাদজার শিকার হন মোমিনুল। ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৬ রান করেন তিনি। এছাড়াও মেহেদি হাসান মিরাজ ১ ও তাইজুল ইসলাম ৩ রানে আউট হন।

১৪৬ রানে সপ্তম উইকেট পতনের পর জিম্বাবুয়ের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন উইকেটরক্ষক জাকের আলি ও হাসান মাহমুদ। তাদের প্রতিরোধে ২শ রানের পথে হাঁটতে থাকে বাংলাদেশ।

কিন্তু দলীয় ১৮৭ রানে হাসানকে থামিয়ে জুটি ভাঙ্গেন মুজারাবানি। জাকেরের সাথে ৪১ রান যোগ করেন হাসান। ১৯ রানে থামেন হাসান। এরপর মাত্র ৪ রান যোগ করে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হবার আগে ৬টি চারে ২৮ রান করেন জাকের। ১০ রানে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে জীবন পেয়েছিলেন জাকের। ৪ রানে অপরাজিত থাকেন খালেদ আহমেদ।

জিম্বাবুয়ের ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ২১ রানে ও ব্লেসিং মুজারাবানি ৫০ রানে ৩টি করে এবং ভিক্টর নিয়ুচি ও ওয়েসলি মাধেভেরে ২টি করে উইকেট শিকার করেন।

বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দিয়ে শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করেছে জিম্বাবুয়ে। আলোকস্বল্পতায় প্রথম দিনের খেলা শেষ হবার আগে বিনা উইকেটে ৬৭ রান তুলেন সফরকারী দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারান। বেনেট ৪০ ও কারান ১৭ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশের চার বোলার কোন উইকেটের দেখা পায়নি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ১৯১/১০, ৬১ ওভার (মোমিনুল ৫৬, শান্ত ৪০, মাসাকাদজা ৩/২১)।

জিম্বাবুয়ে: ৬৭/০, ১৪.১ ওভার (বেনেট ৪০*, কারান ১৭*)।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eighteen − 8 =