মহাকালের ৩৯ বছর: নীলাখ্যানের দুই প্রদর্শনী

বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতির প্রতি অবিচল আনুগত্যে স্থির থেকে নিয়মিত নাট্যচর্চার প্রত্যয়ে ১৯৮৩ সালের ১৪ জুলাই মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের পথচলা শুরু।

নাট্যদলটির ৩৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২৩ ও ২৪ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে ‘নীলাখ্যান’ নাটকের দুটি প্রদর্শনী হবে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সাপুড়ে’ আশ্রয়ে নাটকটি রচনা করেছেন আনন জামান। নির্দেশনায় রয়েছেন ইউসুফ হাসান অর্ক।

এ নাটকের নেপথ্য শিল্পীরা হলেন— মঞ্চ পরিকল্পনা, সুর, সংগীত, আবহসংগীত পরিকল্পনায় ড. ইউসুফ হাসান অর্ক। আলোক পরিকল্পনায় ঠান্ডু রায়হান, পোশাক পরিকল্পনায় ড. সোমা মুমতাজ, কোরিওগ্রাফি জেরিন তাসনিম এশা, প্রপস পরিকল্পনা ও নির্মাণ হাসনাত রিপন, রূপসজ্জায় শুভাশীষ দত্ত তন্ময়, পোস্টার ও স্মরণিকা ডিজাইন পংকজ নিনাদ, মঞ্চ ব্যবস্থাপক জাহিদ কামাল চৌধুরী এবং প্রযোজনা অধিকর্তা মীর জাহিদ হাসান।

অভিনয়শিল্পীরা হলেন—পলি বিশ্বাস, সুরেলা, সম্রাট, রিপন রনি, কোনাল আলী সাথী, শাহিনুর প্রীতি, নূর আক্তার মায়া, কানিজ ফাতেমা লিসা, আমিনুল আশরাফ, শিবলী সরকার, শাহরিয়ার হোসেন পলিন, স্বপ্নিল, রাকীব হাসান, তারক দাস, মো. আহাদ, রাসেল আহমেদ, ইকবাল চৌধুরী, মনিরুল আলম কাজল, মো. শাহনেওয়াজ এবং মীর জাহিদ হাসান।

৩৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের অধিকর্তা মীর জাহিদ হাসান বলেন, ‘জন্মলগ্ন থেকেই মহাকালের অভিপ্রায় ছিল রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক নানারকম সাম্প্রতিক সংকট উপজীব্য নাট্য প্রযোজনা মঞ্চে নিয়ে আসা। সংগ্রামী নারী আসমানী থেকে আরম্ভ করে মুক্তিযুদ্ধের বিস্তৃত ক্যানভাস, গীতিকার নারী, তাঁত শিল্পের কারিগর, প্রান্তিক জনমানুষ, লিঙ্গ প্রতিবন্ধী, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের মতো বিষয় ও নানামাত্রিক চরিত্র উঠে এসেছে মহাকালের নাট্য আয়োজনে।’

রাইজিংবিডি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

five × two =