মান্নান হীরা স্মরণে ‘পথনাটক প্রদর্শনী’

নাট্যকার মান্নান হীরাকে স্মরণ করে পথনাটক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ।

আরণ্যক নাট্যদল, মুক্তমঞ্চ নাট্যদল ও উৎস নাট্যদল এ আয়োজনে মঞ্চস্থ করবে মান্নান হীরা রচিত পথনাটক ‘মূর্খ লোকের মূর্খ কথা’, ‘বৌ’ ও ‘ইঁদারা’।

এছাড়া মান্নান হীরার সৃষ্টি ও কর্ম নিয়ে কথা বলবেন নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা মামুনুর রশীদ এবং পথনাটক পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে শুক্রবার বিকেল ৪টায় এ অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন পথনাটক পরিষদের প্রচার সম্পাদক কামরুল হাসান।

তিনি বলেন, “২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর প্রয়াত হন নাট্যকার মান্নান হীরা। তার এই আকস্মিক চলে যাওয়া আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন তার কর্ম ও সৃষ্টিতে। তাকে স্মরণ করতেই এ অনুষ্ঠান করা হচ্ছে।”

মান্নান হীরার জন্ম ১৯৫৬ সালে, সিরাজগঞ্জ জেলায়। মফস্বল শহর থেকে মাধ্যমিক, রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। নাট্যচর্চার শুরু থেকেই তিনি আরণ্যক নাট্যদলের সঙ্গে ছিলেন।

অভিনয়, নির্দেশনা এবং সাংগঠনিক কাজে যুক্ত থাকলেও সব কিছু ছাপিয়ে তিনি দেশের প্রধান নাট্যকারদের একজন হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। বিশেষ করে পথনাটকে তার অবদান অনন্য।

২০০৬ সালে নাটক শ্রেণিতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান মান্নান হীরা। আরণ্যক নাট্যদলের দলপ্রধানের দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন।

‘ক্ষুদিরামের দেশে’, ‘ফেরারী নিশান’, ‘আদাব’, ‘ঘুমের মানুষ’ ‘মৃগনাভি’, ‘শেকল’, ‘জননী বীরাঙ্গনা’, ‘মণিমুক্তা’, ‘একাত্তরের রাজকন্যা’, ‘মেহেরজান, ‘ফুটপাত’, ‘রেফারী’, ‘বাংলার বাদশা’, ‘সুখদৈত্য’, ‘লাল জমিন’ মান্নান হীরা রচিত উল্লেখযোগ্য নাটক।

‘গরম ভাতের গল্প’ ও ‘৭১-এর রঙপেন্সিল’ নামে দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেছিলেন মান্নান হীরা। এছাড়া পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ তারই বানানো।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

fourteen − 4 =