গত শুক্রবার পর্দা নামলো ‘মিস এভারগ্রিন বাংলাদেশ’-এর সিজন ওয়ানের। রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জমকালো গ্র্যান্ড ফিনালের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয় সেরা তিন বিজয়ীর নাম। বিজয়ীর তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে আবারও ইতিহাস গড়ল মিস এভারগ্রিন বাংলাদেশ। কারণ এবারই প্রথম কোন ট্রান্সজেন্ডার নারী বিজয়ী হয়েছেন। এই প্রতিযোগিতার সেকেন্ড রানার আপ হয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার নারী ইয়াছিন আহমেদ সকাল।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন কিংবদন্তি চিত্রনায়িকা রোজিনা, তরুণ প্রজন্মের তারকা নায়িকা মাহিয়া মাহি, জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর, ব্যস্ত কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগ, বিউটিশিয়ান আফরোজা পারভিন ও মডেল অন্তু করিম। এদিন নৃত্য পরিবেশন করেন তারিন ও শখ। গান গেয়ে শোনান আনিকা।
দেশের প্রায় পাঁচ শতাধিক তরুণীদের মধ্যে বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্বাচিত সেরা ১৫ জনকে নিয়ে ফাইনালের আয়োজনে বিচারকের চুড়ান্ত বিচারে মিস এভারগ্রিন বাংলাদেশ ২০২৩ এর মুকুট বিজয়ী হয়। হ্যাপি আকতার মমতাজ হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন আর প্রথম রানার আপ হয়েছেন নুশরাত জাহান দীপ্তি। মুকুট বিজয়ীকে ২ লাখ টাকার প্রাইজমানি, ফার্স্ট রানার আপকে ১ লাখ টাকা ও দ্বিতীয় রানার আপকে ৫০ হাজার টাকার দেওয়া হয়।
প্রতিযোগিদের টানা দেড় মাস তাদের গ্রুমিং করে দক্ষ করে তোলেন জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফার বুলবুল টুম্পা। এছাড়াও গ্রুমিং ক্লাসে অতিথি হিসেবে অংশ নেন গুণী অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, নাজনিন হাসান চুমকি, নৃত্যশিল্পী ইভান শাহরিয়ার সোহাগ, কণ্ঠশিল্পী পুতুল, ব্র্যান্ড প্রোমোটার বারিশা হকসহ বিভিন্ন অঙ্গনের গুণীজন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন জনপ্রিয় ব্রান্ড প্রমোটার ও মডেল বারিশা হক।
কয়েক মাস ধরে চলে ‘মিস এভারগ্রিন বাংলাদেশ’ সিজন ওয়ানের কার্যক্রম। ‘ম্যাকয়’ ব্র্যান্ডের ফ্যাশন ডিজাইনার ও কর্ণধার মেসবাহ-উল আলম সাজুর আয়োজনটি অডিশন রাউন্ড থেকেই বেশ সাড়া ফেলে। এই প্রথম কোন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় দুজন ট্রান্সজেন্ডার ওম্যান ও একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী প্রতিযোগী ইয়েস কার্ড পান। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোন মেইনস্ট্রিম সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতায় সাধারণ মেয়েদের সঙ্গে লড়াই করার সুযোগ পান তারা। সে সময় বিচারকের আসনে ছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি, অভিনেত্রী মৌটুসী বিশ্বাস ও জ্যোতিকা জ্যোতি, কণ্ঠশিল্পী কর্ণিয়া, নৃত্যপরিচালক ইভান শাহরিয়ার সোহাগ ও মডেল অন্তু করিম।
বার্তা২৪