সালেক সুফী
যেভাবে খেলেছে বাংলাদেশ প্রথম এবং দ্বিতীয় টি ২০ ম্যাচ সেই ধারা বজায় রাখলেই শ্রীলংকার বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ী হবে বাংলাদেশ। প্রথম খেলায় যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশাল টার্গেট চেজ করে জয়ের হাত ছোয়া দুরুত্বে পৌঁছেছিল সেটিই কিন্তু বাংলাদেশকে সহজ জয় এনে দেয় দ্বিতীয় ম্যাচে। সিরিজের অবস্থা এখন ১-১। দুই দলের মধ্যে ভারসাম্যের ব্যাবধান ১৯-২০। কাল ফাইনালে যে দলটি নিজেদের সেরা খেলাটি উপহার দিবে ওরাই জিতে নিবে সিরিজ। আসন্ন বিশ্বকাপ সামনে রেখে সিরিজ জয় দুটি দলের জন্য অপরিহার্য। মনে রাখতে হবে কালকের ম্যাচটি দিন রাতের ম্যাচ নয়। পরে ব্যাটিং করে শিশিরের সুবিধা পাবে না কোনো দল। সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একজন বাড়তি স্পিনার তাইজুলকে দলে নিতেই পারে। শরিফুল ছাড়া তাসকিন বা মুস্তাফিজ কেউ কিন্তু ধারাবাহিক ছিল না। তৃতীয় পেসার হিসাবে সৌম্য ২-৩ ওভার বল করতে পারে। তাইজুল কিন্তু অভিজ্ঞ উইকেট টেকিং বলার।
ব্যাটিং নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। লিটন ভালো শুরু করে ম্যাচ শেষ করতে হবে। সৌম্যর ব্যাটিং অনেকটাই প্রেডিক্ট্যাবল। কাল হয়তো সুযোগ পাবে আবারো নিজেকে প্রমান করতে। ব্যার্থ হলে কিন্তু হাতুরার প্রিয় হলেও রক্ষা হবে না। প্রথম ব্যাটিং করলে বাংলাদেশকে অবশ্যই ১৯০-২০০ করতে হবে। কাল কিন্তু শ্রীলংকা মরিয়া হয়ে ঘুরে দাড়াতে চেষ্টা করবে। ওদের টপ অর্ডারে স্ট্রোকস মেকার্সদের চট জলদি ফেরাতে হলে বোলারদের ধারাবাহিকভাবে সঠিক লেংথ লাইনে বোলিং করতে হবে। ক্যাচ গুলো লুফে নিতে হবে।
আমি দ্বিতীয় ম্যাচে সৌম্যর বিতর্কিত নট আউট নিয়ে কিছু বলা দরকার। পরিষ্কার উডি সাউন্ড ছিল। আমরা জানি আলোর গতি শব্দের চেয়ে বেশি তাই ক্যামেরার প্রথম এবং দ্বিতীয় ফ্রেম দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় বল ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগেছিলো। অনফিল্ড আম্পায়ার সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছিলো। সৌম্য তখন আউট হলেও ম্যাচের ফলাফলে ব্যাতিক্রমী কিছু হত না। বিজ্ঞানকে মেনে আউট ছিল সেটিই বলবো। অনেক সময় আল্ট্রা এজ ধোঁকার সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে মুকুলের তাই হয়েছে।
সিরিজ জয় বাংলাদেশকে অনেক আত্মবিশ্বাস দিবে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে নব প্রজন্মের সূচনা হচ্ছে। তরুণদের হাতে ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক।
সালেক সূফি, ক্রীড়া ও জ্বালানি লেখক