আফগানিস্তান ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ অল আউট ( ইব্রাহিম জাদরান ৯৫, মোহাম্মদ নবি ২২, এএম গাজানফার ২২, মেহেদী মিরাজ ৩/৪২,তানজিম সাকিব ২/৩৫ , রিশাদ হোসেন ২/৩৭)
বাংলাদেশ ২৮.৩ ওভার ১০৯ অল আউট ( তাওহীদ হৃদয় ২৪, সাইফ হাসান ২২, জাকের আলী ১৮, নুরুল হাসান ১৫, রাশিদ খান ৫/১৭ ,জমাতুল্লাহ ওমারজাই ৩/২৭)
আফগানিস্তান ৮১ রানে জয়ী
আফগানিস্তান ২-০ সিরিজ জয়ী।
এক দুই তিন ম্যাচ হলে না হয় যুক্তি থাকে অজুহাত থাকে কিন্তু কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে একই ঢঙে ব্যাটিং ভেঙে ভরাডুবি ঘটে তাকে সামর্থের অভাব নিঃসন্দেহে বলা যায়। বাংলাদেশের বর্তমান ওডিআই দলের ব্যাটিং সামর্থের অপ্রতুলতা আর সীমাবদ্ধতার কারণেই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পর পর দুই ম্যাচ দুই ম্যাচ জঘন্যভাবে হেরে হাটট্রিক ওডিআই সিরিজ পরাজয় হয়েছে, ধবল ধোলাই হবার পথে মিরাজ বাহিনী।
খেলোয়াড়দের লড়াই করার মানসিকতা দৃষ্টিকটু ভাবে অনুপস্থিত। একই কথা বার বার বললে লিখলে মিষ্টি কথা তেতো লাগে। প্রথম ম্যাচ হারের পর কাল ছিল ভালো খেলে সিরিজে ফিরে আসার মিশন। টস জয় করে প্রথম ব্যাটিং করে আফগানিস্তান। বোলাররা বরাবরের মত সাধ্যের সবকিছু দিয়ে আফগান দলকে ১৯০ রানে সীমিত রেখেছিলো। একমাত্র ইব্রাহিম জাদরান ( ৯৫) ছাড়া অন্য কেউ স্বস্তিতে খেলেছে বলবো না।
অধিনায়ক মিরাজ (৩/৪২), তানজিম সাকিব (২/৩৫) আর রিশাদ (২/৩৭) ভালো বোলিং করেছে।সিনিয়র পেশাদার মোহাম্মদ নবী (২২), তরুণ গাজানফার (২২) ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতেই পারেনি। ৭-৮ জনের ব্যাটিং গভীরতা নিয়ে বাংলাদেশ সহজ টার্গেট পেশাদারি কুশলতায় অর্জন করবে ভাবা অস্বাভাবিক ছিল না।
কিন্তু কি করলো বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম আবারো ব্যর্থ। পাওয়ার প্লেটে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা অযথা উইকেট বিলিয়ে দিলো। উইকেটে স্থিতু হয়ে সাইফ (২২) ইব্রাহিম জাদরানের মত ইনিংসে নেতৃত্ব দিতে পারলো না। তাওহীদ হৃদয় (২৪), জাকের আলী (১৮) ।
নুরুল সোহান (১৫) কেউ দায়িত্ব নিয়ে দলের দুর্যোগে ত্রাতা হতে পারেনি। কুশলী রাশিদ খান (৫/১৭) একাই ধসিয়ে দিলো বাংলাদেশকে। ২৮.৩ ওভারে ১০৩ রানে ইনিংস গুটিয়ে গেলো। ম্যাচ হারলো এবং সিরিজ খোয়ালো বাংলাদেশ।
২০২৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে হয়তো কোয়ালিফাইং রাউন্ড খেলতেই হবে। এই দলের খেলোয়াড়দের যে দক্ষতার অভাব সেটাই না মানসিকতার অভাব যথেষ্ট। রাশিদ খান জুজুর ভয় ওদের গ্রাস করেছে। সিরিজ ধবল ধোলাই লজ্জা নিয়ে দেশে ফিরতে হবে অনেকটাই নিশ্চিত।