যুদ্ধ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা

সালেক সুফী

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ , হামাস-ইসরাইল সংঘাতের সূত্র ধরে গাজায় ইসরাইলী গণহত্যা চালু থাকা অবস্থায় ইসরাইল সিরিয়ায় ইরানের কূটনৈতিক মিশনে আক্রমণ করে আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে। ইরান হুমকি দিয়েছে তাদের জবাব ভয়ঙ্কর হবে। সেই জবাব ইসরাইলী নিশানার বাইরেও মধ্যপ্রাচ্যে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিটিও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। আর যদি তাই হয় যুদ্ধ গোটা অঞ্চল এমনকি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা শক্তিগুলো এমনিতেই রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা করতে খেই হারিয়ে ফেলেছে। বিশ্বজুড়ে গাজায় ইসরালিয়ের গণহত্যার বিরুদ্ধে গণরোষ ঘনীভূত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাধ্য হচ্ছে ইসরাইল বিষয়ে পররাষ্ট্র নীতি পরিবর্তন করতে। এমতাবস্থায় ইরান ইসরাইলী লক্ষবস্তুতে আঘাত করলেও প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল যেন সীমা অতিক্রম না করে সেই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সচেতন থাকবে বলে মনে করি। যদি যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয় ভাবে জড়িয়ে পড়ে তাহলে ইরানের সমর্থনে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠী এমনকি রাশিয়া জড়িয়ে পড়তে পারে। এবছরের শেষ ভাগে নির্বাচন সামনে রেখে বাইডেন প্রশাসন সুচিন্তিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আশা করি।

যেটুকু প্রতিক্রিয়া ইরান দেখাক না কেন তার তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়বে বিশ্ব জ্বালানি বাজারে। প্রকৃত পক্ষে ইতিমধ্যেই ইরানের হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সূত্রের সংবাদ প্রকাশের ফলে ইতিমধ্যেই জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে গেছে। সংঘাতের প্রেক্ষিতে যদি লোহিত সাগর এবং অন্যান্য জলপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকে তাহলে বিশ্ব জ্বালানি বাজার সহ অর্থনীতিতে বিশাল নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।

জানিনা জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থা এমনকি বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠনের ভূমিকা সত্ত্বেও কেন ইসরাইল প্যালেস্টাইন সংকটের স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। নানা ঠুনকো অজুহাতে অন্যান্য দেশ সহ  মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধে জড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকে সংঘাতময় করে তুলেছে। অপর পরাশক্তি রাশিয়াকেও উস্কানী দিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এনেছে পশ্চিমা শক্তি।

চীন, উত্তর কোরিয়া, ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ।  বিশ্ব পরিস্থিতি বারুদের মত বিস্ফোরোন্মুখ হয়ে রয়েছে। যে কোন সময় বিস্ফোরণ ঘটলে বিশ্বজোড়া আর্থিক সংকটে থাকা দেশগুলোতে আর্থিক সংকট ঘনীভূত হবে। এমতাবস্থায় জাতিসংঘ সহ সকল সংস্থার দায়িত্ব হবে সংঘাতপূর্ণ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বশক্তি নিয়োগ করা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

5 × 4 =