রণক্ষেত্র এফডিসি, পুলিশের হঠাৎ লাঠিচার্জ

দিনের আলো নিভে আসতেই হঠাৎ পুলিশ বাহিনীর আগমন ঘটে এফডিসিতে। কিছু না বুঝে ওঠার আগেই পুলিশের সদস্যরা লাঠি নিয়ে ধাওয়া শুরু করে নিপুণ-জায়েদ খান পক্ষ-বিপক্ষের অনুসারীদের। যারা দুপুর থেকে এফডিসিজুড়ে জটলা পাকিয়ে রেখেছিলো বিভিন্ন দলে। ভিলেন গ্যাং আর পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার শুটিং নয় এটি। যেমনটা ঘটলো বুধবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় বিএফডিসিতে।

অভিযোগ রয়েছে, এই মানুষের মধ্যে যেমন রয়েছে এফডিসির বিভিন্ন সমিতির সদস্য তেমনি বহিরাগতের সংখ্যাও কম নয়। ফলে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে তৈরি হওয়া উত্তেজনায় বড় অঘটনের কারণ হতে পারে বহিরাগতদের আগমন।

সে কারণেই, এদিন সন্ধ্যায় ঝটিকা ধাওয়ার সূত্র অবলম্বন করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি ও পুলিশের অন্য সদস্যরা। এমন হঠাৎ ধাওয়া খেয়ে শিল্পী সমিতির এক সদস্য (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, ‘এফডিসির জীবনে এমন ঘটনা আগে আর ঘটেনি। পুলিশের এমন হঠাৎ ধাওয়া বিস্ময়কর ঘটনা।’

এমন হঠাৎ ধাওয়াকে অবশ্যই রুটিন ওয়ার্ক বলে দাবি করেছেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি আবুল কালাম। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তারা এমন অভিযান নিয়মিত করেন বলে জানান।

এদিকে এমন ধাওয়ার পরেও এফডিসির উত্তাপ কমেনি একটুও। বরং বেড়েই চলেছে। নিপুণ ও জায়েদ খান দুজনেই দলবল নিয়ে অবস্থান করছেন এফডিসিতে। দ্রুত সময়ের মধ্যে দুই পক্ষের তারকা শিল্পী-প্রযোজকরাও ক্রমশ জমায়েত হচ্ছেন।

জায়েদ খানের পক্ষ থেকে জানা যায়, তিনি হাইকোর্টের রায়ের কপি হাতে নিয়ে সমিতির তালা ভাঙবেন। অন্যদিকে নিপুণ জানালেন, তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

বুধবার (২ মার্চ) নিজের পক্ষে রায় পাওয়ার পর এফডিসিতে ছুটে যান জায়েদ খান। কিন্তু ঢুকতে পারেননি শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে। কারণ সমিতির গেটে ছিল নতুন তালা।

অন্যদিকে প্রযোজক সমিতিতে অবস্থান নিয়েছেন নিপুণ। দু’পক্ষের সমর্থক ও বহিরাগতদের অবস্থানে চলছে পাল্টাপাল্টি শো ডাউন।

বুধবার (২ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে এফডিসিতে আসেন জায়েদ খান। এসেই দাঁড়িয়ে ছিলেন শিল্পী সমিতির সামনে। সে সময় তিনি বলেন, ‘সত্যের জয় হয়েছে, হাইকোর্ট আমার পক্ষেই রায় দিয়েছেন। আমি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম, তারই ফল পেলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার সভাপতির (ইলিয়াস কাঞ্চন) সঙ্গে কথা বলে আমি এফডিসিতে এসেছি। কিন্তু সমিতিতে তালা থাকায় ঢুকতে পারছি না। তালা কে দিয়েছেন, সেটা আমার জানা নেই। তবে আমি সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।’

অন্যদিকে নিপুণের পক্ষে এফডিসিতে স্লোগান চলছে। তিনি জানিয়েছেন, আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। সবকিছু মিলিয়ে সন্ধ্যা গড়ালেও সুরাহা হয়নি পরিস্থিতির। বেড়ে চলছে উত্তেজনা।

বাংলা ট্রিবিউন

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

14 − eight =