রাবিতে সংস্কৃতায়নের আলোচনা ও সম্মাননা প্রদান

মহান স্বাধীনতার মাস উপলক্ষ্যে সংস্কৃতায়ন ‌‘আলোচনা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য স্থিরচিত্র ও শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ২০২৩’ এর সনদ-সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান দুটি পর্বে আয়োজন করে। প্রথম পর্বে আলোচনা সভা ও দ্বিতীয় পর্বে সনদ-সম্মাননা প্রদান করা হয়।

গত শুক্রবার (১ মার্চ) বিকালে উক্ত আলোচনা ও সনদ সম্মাননা অনুষ্ঠিত হয়। রাবির তিন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নামে স্মৃতি সম্মাননা ও সনদ পেলেন তিন শিল্পী নয়ন ঘরামী, সৌমিক ঘোষ ও ফারজানা ইয়াসমিন প্রভা। এছাড়াও আরও দুই ভাগে মোট ৩৩ জন সনদ অর্জন করেন যা উক্ত অনুষ্ঠানে অর্জনকারীদের প্রদান করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের দুই সন্তানের উপস্থিতি এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য স্থিরচিত্র ও শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী সবার উপস্থিতিতে নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুখন সরকারের সঞ্চালনায় আয়োজন সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মীর আব্দুল কাইয়ূমের কন্যা অধ্যাপক ড. কানিজ কেয়া ও শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দারের পুত্র ডা. সলিল রঞ্জন সমাদ্দার। প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক, শিক্ষাবিদ ও সাবেক উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং উপদেষ্টা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মীর আব্দুল কাইয়ূমের কন্যা অধ্যাপক ড. মাহবুবা কানিজ কেয়া বলেন, আমার বাবা আপনাদের ও বাবা, শহীদদের স্মরণ করা আমাদের সবার দায়িত্ব এবং আরও বলেন আমরা শহীদদের সন্তান হয়েও রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত হতে দেখতে হয় তাহলে বুঝবেন আমরা কেমন আছি। সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল্লাহ্ ১ মার্চে এ আয়োজন আমাকে স্বাধীনতার নতুন উৎসাহ দিয়েছে।

প্রধান অতিথি প্রফেসর আবদুল খালেক বলেন, শহীদ সন্তানদের উপস্থিতি ও তাদের কথা হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসার বহিপ্রকাশ ও তাদের কথা আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করে। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা আমাদের যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা আমরা এখনো পাইনি আমাদের সে ব্যর্থতা রয়েছে ও সর্বশেষ আজকের এ আয়োজনের সফলতা কামনা করেন।

২০২৩ সালে সংস্কৃতায়নের আয়োজনে ১৪-১৬ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ‘মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য স্থিরচিত্র ও শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ২০২৩’ এ অংশ নিয়ে তিন শিল্পী স্মৃতি সম্মাননা ও সনদ অর্জন করেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. হাবিবুর রহমান স্মৃতি সম্মাননায় নয়ন ঘরামী, শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক সুখ রঞ্জন সমাদ্দার স্মৃতি সম্মাননায় সোমিক ঘোষ এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মীর আব্দুল কাইয়ূম স্মৃতি সম্মাননায় ভূষিত হন ফারজানা ইয়াসমিন প্রভা। এছাড়াও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী মনোনীত আরও ৩০ জন সম্মান সূচক সনদ গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতায়নের আহবায়ক ড. আমির জামান। আরও উপস্থিত ছিলেন ড. এ. কে. এম. আরিফুল ইসলাম (ভাস্কর্য ও মৃৎশিল্প বিভাগ), ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, সভাপতি, (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ), ড. রবীন্দ্র নাথ দাস,অধ্যক্ষ, লাইলা আর্ট স্কুল ও ড. কনক কুমার পাঠক, (মৃৎশিল্প ও ভাস্কার্য বিভাগ) এবং সংস্কৃতায়নের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কর্মী, সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

17 + 19 =