সাহানা দেবী থেকে শুরু করে কবির সুমন; অন্বেষা দত্ত চক্রবর্তী থেকে শুরু করে তপন বসুর অনুষ্ঠান- সবার কাজই বেজে চলেছে রেডিও ঋদ্ধিতে। সূচনা ৯ অক্টোবর ২০২০, ঘোর অতিমারিতে। মিউজিক থেরাপি ম্যাজিকের মতো কাজ করে -এই ভাবনায় রেডিও ঋদ্ধির যাত্রা শুরু।
সম্প্রতি রেডিও ঋদ্ধির পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয়ী মিউজিক কম্পোজার রিকি কেজ। তার সৃষ্টি ঝংকৃত হচ্ছে রেডিও ঋদ্ধিতে।নতুন প্রতিভাদের গান বাজছে। এদের মধ্যে রয়েছেন সঞ্চারী গোস্বামী, প্রিয়াঙ্কা ব্যানার্জি, সৌমি দাস দত্ত চৌধুরী প্রমুখ।কি রবীন্দ্রসংগীত, কি আধুনিক গানে তারা দেশ বিদেশ মাতিয়ে দিচ্ছেন।
রেডিও ঋদ্ধির কর্ণধার সুশান্ত চন্দ্র জানালেন, গত দেড় বছরে রেডিও ঋদ্ধি আন্টার্কটিকা বাদে সব কটি মহাদেশেই বন্দিত হয়েছে।বিন্দু বিন্দু শ্রোতার সমন্বয়ে গঠিত হতে চলেছে মহা সিন্ধু।গত দু মাসে ভারতবর্ষ রেডিও ঋদ্ধি শুনেছে প্রায় ৬০০০০ মিনিট।নাইজেরিয়া ৬৫৯৭ মিনিট।বারমুডা ৩৩২৭ মিনিট।উত্তর আমেরিকার হণ্ডরাস ২৯০৭ মিনিট।বেলজিয়াম ১৩৫০ মিনিট।কানাডা ২৫০০ মিনিট।ইয়েমেন-এর সানা ৯৪২১ মিনিট। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর পোর্ট অফ স্পেন ১২৬৫১ মিনিট। ফিনল্যান্ড ৪৪২৫ মিনিট। ১৬ মিনিট, ফারো দ্বীপপুঞ্জ ৪০০৯ মিনিট। মরিশাস ২৭০০ মিনিট। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ২১৫৬৩ মিনিট। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ১২৪৪৩ মিনিট। কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ ১০৭৭৬ মিনিট। এস্তনিয়া ৭৩৮৬ মিনিট। উরুগুইয়ে ৭৩৫ মিনিট।
এছাড়াও রয়েছে ফ্রান্স, চীন, হংকং আইল অব ম্যান, সিঙ্গাপুর, দুবাই, কুয়েত, সৌদি আরব, ওমান, সুইজারল্যান্ড, রিপাবলিক অফ মলদোভা, জাপান, জিম্বাবোয়ে, মালদ্বীপ ও আরও অচেনা অজানা দ্বীপপুঞ্জের শ্রোতারা।সবমিলিয়ে লাখখানেকের ওপর মানুষ সূচনা থেকে রেডিও ঋদ্ধি শুনছেন, ভালোবাসছেন। সবার প্রিয় গুগল প্লে স্টোর তো আছেই।
স্মার্টফোনের গুগল প্লে স্টোর থেকে অতি সহজেই ইনস্টল করা যায় রেডিও ঋদ্ধি । তাছাড়া গুগল সহ যেকোনো ব্রাউজারে “RADIO RRIDDHI +ZENO FM”-লিখলেই রেডিও ঋদ্ধি খুলে যাবে। ZENO নিউ ইয়র্কের স্বনামধন্য FM সংস্থা l গুগল প্লে স্টোর থেকে অতি সহজেই ইনস্টল করা যায় রেডিও ঋদ্ধি। খুবই হালকা এই অ্যাপ।মাত্র 6.7 MB জায়গা নেয় এই অ্যাপটি, এই অনলাইন রেডিওটি।ফোন ভারী হয়ে যাবার ভয় নেই।
দেশ বিদেশের প্রচুর মানুষ একটানা চার ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আমেরিকার বস্টন থেকে সম্প্রচারিত এই রেডিওটি শুনছেন।কর্ণধার সুশান্ত চন্দ্রর বিশ্বাস আরও বেশিসংখ্যক শ্রোতার সমর্থন পাবে রেডিও ঋদ্ধি যদি বহুজাতিক এবং ক্ষুদ্র স্পনসররা এগিয়ে আসেন।মনে হয় সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
দেজ পাবলিশিংয়ের পক্ষে অপু দে, দাবাড়ু দিব্যেন্দু বড়ুয়া ও তার সহধর্মিণী সহেলী বড়ুয়া সম্প্রতি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রেডিও ঋদ্ধিতে। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্রবধূ মিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারও প্রচারিত হয়েছে রেডিও ঋদ্ধিতে। দিন রাত প্রচারিত হচ্ছে ভাবনা রেকর্ডসের গান, বিশ্ব রায়ের সৌজন্যে।
পাশে রয়েছেন ঊষা উথুপ, মুনমুন সেন, ডোনা গাঙ্গুলি, রজতাভ দত্ত, সুদেব দে, সৈকত মিত্র, পাওলি দাম, রূপম ইসলাম, অভিজিৎ দাশগুপ্ত, দেবাশিস বসু, মধুমিতা বসু, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত, জয়ন্ত ঘোষাল, অনিকেত চট্টোপাধ্যায়, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, হৈমন্তী শুক্লা, ইন্দ্রাণী সেন, পাপিয়া অধিকারী, নীপবীথি ঘোষ, রাজেশ শর্মা, সুব্রত দত্ত, বিক্রম ঘোষ, সাহানা বক্সী, শাশ্বতী গুহঠাকুরতা, চৈতালি দাশগুপ্ত।
রাজনৈতিক চরিত্র সুব্রত বক্সী, অসীম দাশগুপ্ত, অসীম কুমার বসু (বাবাই) এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব স্নেহাশিস শুর। পূজো আসছে। নতুন সাজে সাজছে রেডিও ঋদ্ধি। আপনাদের ঘরে বাইরের যেকোনো ধরনের রেডিও উপযোগী অনুষ্ঠান পাঠাতে পারেন +91 98303 64429 এই নম্বরে। নিউ ইয়র্ক হোক বা চন্দন নগর, পরিষ্কার শোনা যায় রেডিও ঋদ্ধি। জানাচ্ছেন রেডিও ঋদ্ধির কর্ণধার কলকাতার ভবানীপুরের ছেলে সুশান্ত চন্দ্র।
এই রেডিওর মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে বাড়তে পারে পর্যটন , আসতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা। এ বিশ্বাস সুশান্ত চন্দ্র-র । ধন ধান্য ভাসতে পারে খুশিতে – এমন দাবি সুশান্ত চন্দ্রর।
আপনারা দেশে বিদেশে যেখানেই থাকুন অনুষ্ঠান রেকর্ড করে পাঠাতে পারেন রেডিও ঋদ্ধির Whatsapp নাম্বার +91 9830364429 -এ । নতুন প্রতিভাদের জন্য আঁচল উপুর করে বসে আছে রেডিও ঋদ্ধি। চরিত্রে মহাজাগতিক এই ফিউসন রেডিও। কে না শোনেননি এর সুমিষ্ট স্বর !