লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ড দ্রুত পেতে বাংলাদেশ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে

প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, কপ-২৮ এ কার্যকর লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ড দ্রুত পেতে বাংলাদেশ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এজন্য বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, উক্ত তহবিলে এ পর্যন্ত ১৯টি দেশ মোট ৭৯২ মিলিয়ন ইউএস ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ফান্ড ভবিষ্যতে বৃদ্ধি পাবে। নতুন তহবিলটি প্রাথমিকভাবে চার বছরের জন্য বিশ্বব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত হবে।

আজ জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৮): প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা’ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এসব কথা বলেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরিটাস ড. আইনুন নিশাত। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ। প্যানেল আলোচনা পরিচালনা করেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের ডিএমডি ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ। বিষয়ভিত্তিক তিনটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক এবং পরিচালক মির্জা শওকত আলী।

সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এবার কপ-২৮ এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের চেষ্টায় এবার ‘ইউএই ফ্রেমওয়ার্ক ফর গ্লোবাল ক্লাইমেট রেজিলেন্স’ গ্রহণ করা হয়েছে যার লক্ষ্য হবে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে যুক্ত ক্রমবর্ধমান প্রতিকূল প্রভাব, ঝুঁকি এবং দুর্বলতা হ্রাস করা, সেইসাথে অভিযোজনমূলক কার্যক্রম এবং সহায়তা বৃদ্ধি করা। ‘ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অন জাস্ট ট্রাঞ্জিশন পাথওয়ে’র কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে । ‘লো জিএইচজি এমিশনস এন্ড ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ডেভেলপমেন্ট’ পথের সাথে জলবায়ু অর্থায়ন প্রবাহ সামঞ্জস্যপূর্ণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

তিনি বলেন,  তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ᴼ সে.-এর মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে টেকসইভাবে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাসের প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দিয়ে জিএসটি-তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এটি সদস্য দলগুলোকে তাদের পরবর্তী এনডিসি-কে আরো উচ্চাকাঙ্ক্ষী করে সকল সেক্টরকে কভার করে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি  ১.৫ᴼ সে.-এ সীমাবদ্ধ রাখার সাথে সংগতি রেখে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাস লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করার জন্য উৎসাহিত করেছে এবং ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতিতে জীবাশ্ম জ্বালানি পরিহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

4 × five =