লাকী আখান্দের সুর করা অপ্রকাশিত গান

কয়েক দিন আগে ‘আমি তুমি দেখো না কেমন’ শিরোনামের একটি গানে কণ্ঠ দিলেন রফিকুল আলম। দ্বৈত এ গানে তাঁর সঙ্গে থাকবেন সাঈদা শম্পা। গানের গীতিকার গোলাম মোর্শেদ, সংগীতায়োজনে সজীব দাস। গানটির বিশেষত্ব হচ্ছে, এটি প্রয়াত সুরকার লাকী আখান্দের অপ্রকাশিত সুর। কিংবদন্তি এই সুরকার ও গায়কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল গীতিকার গোলাম মোর্শেদের। একসঙ্গে অনেক কাজ করেছেন। গোলাম মোর্শেদের সংগ্রহে তাঁর নিজের লেখা প্রায় ২০০ গান আছে, যেগুলো জীবদ্দশায় সুর করেছিলেন লাকী আখান্দ্। বিভিন্ন কারণে গানগুলো তখন রেকর্ড করা হয়নি। অপ্রকাশিত সেসব গান এবার প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন গোলাম মোর্শেদ।

এরই মধ্যে ‘গান জানালা’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে কয়েকটি গান প্রকাশও করেছেন তিনি। ‘সেই তো এলাম ফিরে’, ‘চাইবার কিছু’, ‘এক দুই তিন’ শিরোনামের গানগুলো গেয়েছেন রূপঙ্কর বাগচী, সাঈদা শম্পা, তানভীর আলম সজীব ও নেপো। আরও অনেক গানের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে সেগুলো প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন গোলাম মোর্শেদ। তিনি বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে লাকী ভাইয়ের সঙ্গে আমি দীর্ঘ দিন কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। উনার সুর করা ও আমার লেখা বেশ কিছু অপ্রকাশিত গান আমার কাছে আছে। বছর দুয়েক ধরেই গানগুলো শ্রোতাদের সামনে আনার চেষ্টা করছি। সর্বশেষ রেকর্ড করা গানে কণ্ঠ দিলেন রফিকুল আলম। উনার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল লাকী ভাইয়ের সুরে গাওয়ার। দুই মাস আগে স্বরলিপি আরেকটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। শিগগির আরও কিছু গান রেকর্ড করব। এভাবেই লাকী ভাইয়ের অপ্রকাশিত সুরগুলো সামনে আনার কাজটা এগিয়ে নিচ্ছি।’

এসব গানের বেশির ভাগেরই সংগীতায়োজন করছেন সজীব দাস। তিনিও লাকী আখান্দের দীর্ঘদিনের গানের সঙ্গী। লাকীর কাছে নিয়েছেন সংগীতের পাঠ। তাঁকে গুরু বলে মানেন সজীব। তিনি লাকী আখান্দের সুরের প্রতি সুবিচার করতে পারবেন, এই বিশ্বাস থেকেই সজীবকে সংগীতায়োজনের দায়িত্ব দিয়েছেন গোলাম মোর্শেদ। সজীব দাস জানালেন, এরই মধ্যে লাকী আখান্দের অপ্রকাশিত সুরের প্রায় ১০টি গানের সংগীতায়োজন করেছেন তিনি। সেগুলো গেয়েছেন রফিকুল আলম, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, সাঈদা শম্পা, স্বরলিপিসহ অনেকে।

সজীব দাস বলেন, ‘আমি সরাসরি লাকী ভাইয়ের ছাত্র হওয়ায় তাঁর অপ্রকাশিত সুরে কাজ করার সুযোগটা পেয়েছি। সেই স্কুলজীবন থেকে শুরু করে প্রায় ১৬-১৭ বছর তাঁর কাছে শিখেছি, তাঁর সঙ্গে বাজিয়েছি। এটা আমার সৌভাগ্য। আজকে আমার নামের পাশে যে কম্পোজার কথাটা লেখা হয়, সেটা সম্পূর্ণ লাকী ভাইয়ের অবদান। তাঁর অপ্রকাশিত কাজগুলো সামনে আনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

3 × five =