লিটনের চোখধাঁধানো সেঞ্চুরি

এবারের সফরের আগে নিউ জিল্যান্ডে টেস্টে চার ইনিংসে তার ছিল কেবল ৬৪, সর্বোচ্চ ৩৩। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ৮৬ রানের ইনিংস খেলার পর এবার দারুণ সব শটের পসরা সাজিয়ে খেললেন ১০২ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস।

মোহাম্মদ নাঈমের বিদায়ের পর ক্রিজে যান লিটন। প্রথম ১৮ বলে তার স্কোরিং শট ছিল একটি, তিন রান নিয়ে যেটিতে খুলেছিলেন রানের খাতা। ব্যক্তিগত ৪ রানে সফল রিভিউয়ে বাঁচেন কট বিহাইন্ডের হাত থেকে।

প্রথম ৩০ বলে রান ছিল কেবল ৬। প্রথম বাউন্ডারি আসে ৪৬তম বলে, নিল ওয়্যাগনারের শর্ট বলে পুল করে। এই পেসারের শর্ট বল মোটেও ভাবাতে পারেনি লিটনকে। পরের ওভারে পুল করে চার মারেন পরপর দুই বলে।

এরপর থেকে দৃষ্টিনন্দন সব শটে মারতে থাকেন একের পর এক বাউন্ডারি। কয়েক ওভার পর কাইল জেমিসনেক পুল করে চার মারার পর আপার কাট করে ছক্কা। ওভারের শেষ বলে আবার পুল করে চারে পৌঁছে যান ফিফটির দুয়ারে।

৬৯ বলে ফিফটি ছুঁয়ে বোল্টকে পাঁচ বলে মারেন চারটি চার, সবকটাই ড্রাইভ করে। পরে ড্যারিল মিচেলের দুই ওভারে মারেন একটি করে বাউন্ডারি।সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে মিরাজ ফিরে যাওয়ার সময় লিটনের রান ৯৭ বলে ৮১। ওয়্যাগনারের পরের ওভারের প্রথম লাগে আঙ্গুলে। ম্যাজিক স্প্রে লাগিয়ে মারেন টানা দুই চার। প্রথমটি পুল করে, পরেরটি কাভার দিয়ে তুলে মেরে।জেমিসনের ওভারে এক চার ও তিনটি দুইয়ে পৌঁছান তিন অঙ্কে। একশ ছয় বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ড্রেসিং রুমের দিকে স্যালুট দিয়ে করেন উদযাপন।

বিডিনিউজ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

sixteen − 9 =