লিটনের দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০২ রান

ওপেনার লিটন দাসের দ্রুততম  হাফ-সেঞ্চুরিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ১৭  ওভারে ৩ উইকেটে ২০২ রান করেছে বাংলাদেশ। এই নিয়ে পঞ্চম ও টানা দ্বিতীয় ম্যাচে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ২শ বা তার বেশি রান করলো টাইগাররা।

বাংলাদেশের পক্ষে ১৮ বলে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন লিটন। শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ৮৩ রান করে আউট হন লিটন।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে এ ম্যাচেও টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। টস হবার ১০ মিনিট পর বৃষ্টি নামলে  নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি ম্যাচটি।  ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট  পর শুরু হওয়া ম্যাচের দৈর্ঘ্য  বৃস্টি আইনে ম্যাচটি ১৭ ওভারে নামিয়ে আনা হয়।

ব্যাট হাতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন ও রনি তালুকদার। ৩ দশমিক ৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫০ স্পর্শ করেন তারা। যা টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম অর্ধশতক বাংলাদেশের। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম এবং মুখোমৃুখি হওয়া  ১৮তম  ১ রান নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দশম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন। ২০০৭ সালে ২০ বলে করা মোহাম্মদ আশরাফুলের রেকর্ড ভেঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির নজির গড়েন লিটন।

লিটনের রেকর্ড হাফ-সেঞ্চুরিতে পাওয়ার প্লেতে ৮৩ রান পায় বাংলাদেশ। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বাংলাদেশের রান ১শ স্পর্শ করে। দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে ভাঙ্গে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। আয়ারল্যান্ডের লেগ স্পিনার বেন হোয়াইটের বলে লং-অনে মার্ক অ্যাডায়ারকে ক্যাচ দেন  ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৩ বলে ৪৪ রান করা রনি। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৬ বলে ১২৪ রান তুলেন লিটন-রনি। যা টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ  রান।  সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪৩ বলে ৯১ রানের সূচনা করেছিলেন লিটন-রনি।

১২তম ওভারের শেষ বলে থামেন লিটন। হোয়াইটের বলে উইকেটরক্ষক লরকান টাকারকে ক্যাচ দিয়ে ৪১ বল খেলে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৩ রান করে আউট হন লিটন। টি-টোয়েন্টিতে এটিই তার সেরা ইনিংস।

দলীয় ১৩৮ রানে লিটন ফেরার পর বাংলাদেশের রানের চাকা দ্রুত ঘুড়িয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়। তৃতীয় উইকেটে ২৯ বলে ৬১ রান তুলে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহ এনে দেন তারা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ১৭ ওভারে ৩ উইকেটে ২০২ রান করে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯ দশমিক ২ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ রান করেছিলো বাংলাদেশ।

৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৪ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত ক কেন   সাকিব। ১৩ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৪ রানে আউট হন হৃদয়। সাকিবের সাথে ২ রানে অপরাজিত থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আয়ারল্যান্ডের হোয়াইট ২টি ও মার্ক অ্যাডায়ার ১টি উইকেট নেন।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

10 − six =