শান্ত’র লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরির পর ১৬৪ রানে অলআউট বাংলাদেশ

বাঁ-হাতি ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তর লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি সত্ত্বেও এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৪২ দশমিক ৪ ওভারে ১৬৪ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ১২২ বলে ৭টি চারে ৮৯ রান করেন শান্ত।

পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্বান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এ ম্যাচে দেশের ১৪৩তম ওয়ানডে খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক হয় বাঁ-হাতি ওপেনার তানজিদ হাসানের। কিন্তু অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি তানজিদ।

মোহাম্মদ নাইমের সাথে ইনিংস শুরু করে দ্বিতীয় ওভারে শ্রীলংকার স্পিনার মহেশ থিকশানার দ্বিতীয় বলে লেগ বিফোর আউট হন তানজিদ। রিভিউ নেয়ার সুযোগ থাকলেও, আম্পায়ারের সিদ্বান্ত মেনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে  শূন্য হাতে  প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ২ বল খেলা তানজিদ। দেশের ১৬তম ওয়ানডে ব্যাটার হিসেবে অভিষেকেই ‘ডাক’ মারলেন ২২ বছর বয়সী তানজিদ।

শুরুতেই ওপেনারকে হারানো ধাক্কা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেন নাইম ও তিন নম্বরে নামা শান্ত। উইকেট সেট হবার চেষ্টা করেও বেশি দূর যেতে পারেননি তারা। স্পিনার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার করা অষ্টম ওভারে ক্রিজ ছেড়ে খেলতে গিয়ে টাইমিং মিস করায় পয়েন্টে পাথুম নিশাঙ্কাকে ক্যাচ দেন নাইম। ৩টি চারে ১৬ রান করেন তিনি। শান্তর সাথে ৩৮ বলে ২১ রানের জুটি গড়েন নাইম।

নাইমের বিদায়ে উইকেটে আসেন অধিনায়ক সাকিব। তখন ২৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। এ অবস্থা থেকে দলকে চাপমুক্ত করতে পারেননি টাইগার দলনেতা। শ্রীলংকান পেসার মাথিশা পাথিরানার বল কাট করতে গিয়ে ব্যাটে বল লাগাতে পারেননি সাকিব। বল তার গ্লাভসে লেগে উইকেটরক্ষকের হাতে জমা পড়লে  বিদায় নিতে হয়  ১১ বলে ৫ রান করা সাকিবকে।

৩৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় ক্রিজে শান্তর সঙ্গী হন তাওহিদ হৃদয়। দেখেশুনে খেলে বড় জুটির চেষ্টায় সফল হন তারা। ২৩তম ওভারে জুটিতে ৫০ পূর্ণ করেন শান্ত-হৃদয়। পরের ওভারে নিজের মুখোমুখি হওযা ৬৬তম  বলে ওয়ানডেতে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ন করেন  ২ রানে জীবন পাওয়া শান্ত।

একই  ওভারের শেষ বলে শান্ত-হৃদয়ের জুটি ভাঙ্গেন শ্রীলংকার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। রিভিউ নিয়ে শানাকার শিকার হওয়ার আগে  ৪১ বলে ২০ রান করেন হৃদয়। চতুর্থ উইকেটে ৮০ বলে ৫৯ রান তুলেন শান্ত ও হৃদয়।

দলের রান তিন অংকে পৌঁছানোর আগেই উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম। শান্তর সাথে আরও একটি বড় জুটির পরিকল্পনায় ছিলেন মুশি। ভালো করার ইঙ্গিত দিয়েও জুটিতে ৩২ রান তুলে বিচ্ছিন্ন তারা।

৩৩তম ওভারে পাথিরানার বাউন্সারে আপার কাট শটে ডিপ থার্ড ম্যানে দিমুথ করুনারতœকে ক্যাচ দেন মুশফিক ১টি চারে ১৩ রান করা মুশফিক।

দলীয় ১২৭ রানে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে মুশফিক ফেরার পর বাংলাদেশের রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন শান্ত। অন্যপ্রান্ত দিয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ ৫ ও মাহেদি হাসান ৬ রানে আউট হলেও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন শান্ত।

কিন্তু থিকশানার করা ৪২তম ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারির ক্যারম বল ঠিকমতো খেলতে না পেরে বোল্ড হন  ৭টি চারে ১২২ বলে ৮৯ রান করেন শান্ত।

দলীয় ১৬২ রানে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে শান্ত ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি বাংলাদেশ। ৪২ দশমিক ৪ ওভারে ১৬৪ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ৩২ রানে ৪ উইকেট নেন পাথিরানা। ১৯ রানে ২ উইকেট নেন থিকশানা।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

15 + 1 =