শ্রমিকের কল্যাণে একশ বছর পেরিয়ে শ্রম অধিদপ্তর

মো. আকতারুল ইসলাম: জ্ঞানীর জ্ঞান, বিজ্ঞানের অত্যাশ্চার্য আবিষ্কার, ধর্ম সাধকের আত্ম উপলব্ধি, ধনীর ধন, যোদ্ধার যুদ্ধে জয়লাভ সবকিছুই শ্রমলব্ধ। মানুষ জীবন ধারনের জন্য যেসব কাজ করে থাকে তাকে শ্রম বলে। শ্রমিকই হলো সকল উন্নয়ন ও উৎপাদনের চাবিকাঠি। শ্রমের চাহিদা চিরন্তন নিরলস শ্রম দিয়েই এই সভ্যতা তৈরি। শ্রমের মূল্য অপরিসীম। কিন্তু এ সমাজে যারা শ্রম দেন তারা কি যথাযথভাবে সে মূল্য পান? এ প্রশ্ন চিরন্তন। সভ্যতার সৃষ্টিলগ্ন থেকেই শ্রমজীবীর বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই গেছে। শ্রমজীবীর যথাযথ প্রাপ্যতা এবং অধিকার নিশ্চিতে এ উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসন আমলেই শ্রমদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়।

ব্রিটেনসহ ইউরোপীয় দেশগুলোতে হাজার বছর ধরে চলে আসা লোমহর্ষক এবং নিকৃষ্টতম নির্যাতন প্রথা কৃতদাস প্রথার দগদগে ক্ষত, ১৮৮৬ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে দৈনিক আটঘণ্টা কাজের দাবিতে শ্রমিকদের আত্মত্যাগ, ফলশ্রুতিতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে শ্রমিকদের উন্নতি, তাদের সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভার্সাই চুক্তি অনুযায়ী ১৯১৯ সালের ১১ এপ্রিল আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও গঠিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ে ভারত উপমহাদেশে তেমন কোন শ্রম অসন্তোষ না থাকলেও বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীতে শ্রম সম্পর্কিত সুসম্পর্ক রক্ষা, শ্রম অধিকার এবং শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে ভারত সরকার প্রাথমিকভাবে ১৯২০ সালে লেবার ব্যুরো গঠন করে। যা আজ শ্রম অধিদপ্তর হিসেবে পূর্ণতা পেয়েছে। একশ বছর পেরিয়ে এ অধিদপ্তর আজ শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের আশ্রয়স্থল, আস্থার জায়গা।

ব্রিটিশ শাসনামলের মাঝামাঝি সময়ে অবিভক্ত ভারতে শুধু শ্রমিকের কল্যাণার্থে শ্রম প্রশাসনের সূত্রপাত ঘটে। লেবার ব্যুরো থেকে ১৯৩১ সালে জেনারেল ডিপার্টমেন্ট অব লেবার নামকরণ করা হয়। ১৯৩৫ সালে নতুন সংবিধানের আওতায় লেবার ডিপার্টমেন্টের সৃষ্টি ও শ্রম প্রশাসনের বিকাশ ঘটে। শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রম কল্যাণ, সামাজিক নিরাপত্তার মধ্যে প্রভিডেন্ট ফান্ড, শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ, স্বাস্থ্য বীমা, বার্ধক্যজনিত অবসর, ট্রেড ইউনিয়ন এসকল বিষয়গুলো শ্রম আইন প্রাদেশিক সরকারের অধিভুক্ত হয়।

শিল্প শ্রমিক ও নারীদের মধ্যে দূরত্ব কমাতে ভারত সরকার ১৯৪১ এবং ৪২ সালে শ্রমিক-মালিক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে মালিক-শ্রমিক ও সরকারি প্রতিনিধিত্বের মাধম্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। সে অনুযায়ী ১৯৪২ সালের আগস্ট মাসে কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৪৬ সালের অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক শ্রম মন্ত্রীদের কনফারেন্সে শ্রম ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতি অর্জনের লক্ষ্যে শ্রমআইন কেন্দ্রীয় সরকারের অধিভুক্ত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর ১৯৬২ সাল পর্যন্ত শ্রম প্রশাসন কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে পরিগণিত ছিল।

১৯৬২ সালের শাসনতন্ত্র অনুযায়ী তা প্রাদেশিক বিষয়ে রূপান্তরিত হয় এবং লেবার কমিশনারের পদসহ তার দপ্তর সৃষ্টি করা হয়। ১৯৬৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের শ্রমনীতি এবং এয়ারভাইস মার্শাল নূর খানের রিপোর্টের ভিত্তিতে ১৯৭০ সালের মার্চ মাসে পূর্ব পাকিস্তানে লেবার এন্ড সোস্যাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টকে তিনভাগে ভাগ করা হয়। এই তিনভাগে ছিল শ্রম সম্পর্ক পরিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদপ্তর এবং ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্টারের অফিস। পরবর্তীতে ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্টারকে শ্রম পরিদপ্তরের সাথে একত্রিকরণ করা হয়। সব শেষ বর্তমান সরকারের সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৭ সালে শ্রম পরিদপ্তরকে ‘শ্রম অধিদপ্তর’ করা হয়। সরকারের নানামুখি ইতিবাচক পদক্ষেপের ফলে এ অধিদপ্তরের সক্ষমতা বেড়েছে বহুগুণ।

শ্রম অধিদপ্তরের গঠন, ক্রমবিকাশ, ব্যপ্তি সবমিলে দেখতে পাই এ অধিদপ্তরের প্রাণ শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ। আর শতবর্ষী এ প্রতিষ্ঠানের মূলকাজ হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে তাদের মুখে হাসি ফোটানো। শতবছর ধরে ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে শ্রম অধিদপ্তর হয়ে উঠেছে শ্রমজীবীদের আশ্রয়স্থল। শ্রম অধিদপ্তর রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে পেয়েছে সাহায্য-সহযোগিতা, অনুপ্রেরণা, সাহস এবং সমর্থন। শ্রমজীবী মেহনতি এসব মানুষকে আপন করে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতা আজীবন সংগ্রাম করেছেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে, আর দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

১৯৭৫ সালের ২৬শে মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহান স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বঙ্গবন্ধু চাকরিজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “আপনি চাকরি করেন আপনার মায়না দেয় ঐ গরিব কৃষক, আপনার মায়না দেয় ঐ গরীব শ্রমিক। আপনার সংসার চলে ঐ টাকায়, আমি গাড়ি চলি ঐ টাকায়। ওদের সম্মান করে কথা বলুন, ওদের ইজ্জত করে কথা বলুন, ওরাই মালিক” শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের প্রতি কতটা টান, কতটা দরদ, কতটা মমত্ববোধ থাকলে একজন রাষ্ট্রনায়ক তাঁর দেশের গরিব শ্রমজীবীদের দেশের মালিক বলে ঘোষণা দিতে পারেন। তিনি বলেন, “শ্রমিক ভাইয়েরা, আমি শ্রমিক প্রতিষ্ঠান করেছি। আপনাদের প্রতিনিধি ইন্ডাস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট, লেবার ডিপার্টমেন্টের শ্রমিক প্রতিনিধি বসে একটা প্লান করতে হবে। সেই প্লান অনুযায়ী কি করে আমরা বাঁচতে পারি তার বন্দোবস্ত করতে হবে”। মহান স্বাধীনতা লাভের পরেই জাতির পিতা নবপ্রণীত সংবিধানে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকারের বিষয় সুদৃঢ়করণ করেন।

শুধু তাই নয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নকালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ে ধর্মঘট ঘোষণা করলে সে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করায় বঙ্গবন্ধু ১৯৪৯ সালের ২৬ মার্চ বহিষ্কৃত হন। তিনি অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি এবং ছাত্রত্ব ফিরিয়ে নেননি। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য এমন ত্যাগ ইতিহাসে বিরল। ১৯৭২ সালে জাতির পিতার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর সদস্যপদ  লাভ করে। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ২২ জুন আইএলসিতে ৬টি কোর-কনভেনশনসহ  ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে। আইএলও এর ইতিহাসে এমন ঘটনা আর কখনো ঘটেনি। এর  আগেও বঙ্গবন্ধু ১৯৫৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কোয়ালিশন সরকারের শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম মন্ত্রীরই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ইতিহাসের দেদীপ্যমান এসব ঘটনা শ্রম অধিদপ্তরের অহংকারেরই এক একটি পালক।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শ্রম অধিদপ্তর বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন প্রদান ও কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রেড ইউনিয়ন এর গঠনতন্ত্র, নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন, ইউনিয়ন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দলিলের সত্যায়িত কপি প্রদান, নিবন্ধনের প্রত্যয়ন কপি প্রদান, শিল্প,কলকারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সমুদ্র ও স্থল বন্দর, পরিবহণ সেক্টরসহ প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রতিষ্ঠানিক সেক্টরের শ্রম বিরোধ নিম্পত্তি, সালিসকারক হিসেবে শিল্পে উৎপাদন অব্যাহত রাখা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বন্দরসমূহের কার্যক্রম এবং পরিবহণ সেক্টরের শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ সার্বিক শ্রম পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

শিল্প, কলকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী কমিটি গঠন ও কার্যাবলি তত্ত্বাবধান, যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি (সিবিএ) নির্ধারণ, ট্রেড ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটির নির্বাচন তত্ত্বাবধান, নিম্নতম মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে সকল সেক্টরের শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করে থাকে। দেশের দৈনিক শ্রম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা ও স্থানীয় প্রশাসন এবং ঊর্দ্ধতন  কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রতিবেদন প্রেরণ করে থাকে। শ্রম অধিদপ্তর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি করে থাকে তা হচ্ছে অসৎ শ্রম আচরণ ও এন্টি ইউনিয়ন ডিসক্রিমিনেশন বিষয়ে মালিক বা শ্রমিক অভিযোগ এবং শ্রম অধিকার সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তপূর্বক নিষ্পত্তি করা।

বর্তমান সরকারের সময়ে ২০১৭ সালে শ্রম পরিদপ্তরকে ‘শ্রম অধিদপ্তর’ করার পর ডিজিটাল বাংলাদেশের বদৌলতে কর্মক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন, লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন সংক্রান্ত অনলাইন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। শ্রমিক ও তার পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যসেবা সহজীকরণের জন্য ‘শ্রমিকের স্বাস্থ্য কথা’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন অংশীজনের অভিযোগ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে হেল্পলাইন (১৬৩৫৭) চালু করা হয়েছে।  শ্রম অধিদপ্তরের মাধ্যমে ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ৮ হাজার ৮১৪টি ট্রেড ইউনিয়ন, ৩৩টি জাতীয় ভিত্তিক ফেডারেশন, ১৮৭টি সেক্টরভিত্তিক ফেডারেশনের রেজিস্ট্রেশন প্রদান, ৬৯৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া মানবসম্পদ উন্নয়নকল্পে ১৪ হাজার ৪৯৪ জনকে প্রশিক্ষণ, ৬২ হাজার ৯৯৪ জনকে বিনামূল্যে পরিবার পরিকল্পনা সেবা এবং ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ১৯১ জনকে বিনোদনমূলক সেবা প্রদান করা হয়। করোনা প্রাদুর্ভাবকালীন শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য শ্রম অধিদপ্তরের শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসকদের মাধ্যমে ৭৯ হাজার ৬৯৮ জন শ্রমিককে টেলিমেডিসিন সেবা এবং ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৭৭ জন শ্রমিককে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে। শ্রমজীবী মানুষ যাতে সহজে আদালতে আইনের আশ্রয় নিতে পারে সেজন্য সারাদেশে বিদ্যমান ৭টি শ্রম আদালতের সাথে আরো ০৩ টি শ্রম আদালত (সিলেট, বরিশাল ও রংপুর) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সব শেষ গত ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী শ্রমিকদের আবাসন সুবিধা প্রদানের জন্য নারায়ণগঞ্জের বন্দর এবং চট্টগ্রামের কালুরঘাটে এক হাজার ৭’শ শয্যা বিশিষ্ট দুটি ডরমেটরি এবং ৬টি শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন।

ব্রিটিশ ভারতের লেবার ব্যুরো শতবছর পেরিয়ে আজ পূর্ণাঙ্গ অবয়বে শ্রম অধিদপ্তর। বেড়েছে কলেবর, কর্মপরিধি, গায়ে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। অধিদপ্তরটি পেয়েছে রাজধানীর বিজয় স্মরণীতে সুউচ্চ শ্রম ভবন। এ অধিদপ্তরের আগামী কয়েক বছরের পরিকল্পনায় রয়েছে গাজীপুরের টঙ্গীতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় শ্রম ইনস্টিটিউট, মতিঝিলে লেবার ওয়েলফেয়ার টাওয়ার, তেজগাঁওয়ে ন্যাশনাল লেবার হাসপাতাল, দেশের বিভিন্ন জেলায় শিল্পের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে পিছিয়ে পড়া যুবসমাজকে দক্ষ শ্রমিকে রূপান্তর প্রকল্প। পরিকল্পনায় নেয়া এসকল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শ্রম অধিদপ্তরের সেবার বদৌলতে শ্রমজীবী মানুষগুলো সমাজের অন্যদের সাথে কাঁধ মিলিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের পর্যায়ে নিতে বড়ো অবদান রাখতে পারবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।

লেখক: জনসংযোগ কর্মকর্তা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

fifteen + 5 =