সঙ্গীতশিল্পী তিশমার জন্মদিন আজ

তিশমা বাংলাদেশের একজন মহিলা রক সঙ্গীতশিল্পী। তিনি বাংলাদেশের “বাংলার রক সম্রাজ্ঞী” নামেও পরিচিত। তিনি একজন তরুণ কণ্ঠশিল্পী, সুরকার, গীতিকার এবং রক সঙ্গীতশিল্পী। তিনি একজন বিখ্যাত গান সৃষ্টিকর্তা, সঙ্গীত সংগ্রাহক, গিটারিস্ট, কি-বোর্ডিস্ট এবং হার্ড রক কণ্ঠশিল্পী। তিনি বাংলাদেশে পপ সঙ্গীতে একজন প্রধান অগ্রপথিক ও প্রবর্তনকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি বাংলাদেশে পপ সঙ্গীতে বিশ্লা পরিবর্তনের সাধনের কারণে তিনি খ্যাতি লাভ করেন।

তিশমা তার শৈশব কালের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এবং তিনি তার শিক্ষা জীবন শুরু করেন যুক্তরাজ্যে। আসলে তার শৈশবের শুরুতে তার শিক্ষার হাতেখড়ি হয় একজন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিক্ষকের কাছে। তিনি চার বছর বয়সে পিয়ানো বাজান এবং ABRSM এর অধীনে তিনি ইউরোপিয়ান উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত এবং সঙ্গীত তত্ত্বের উপর পড়ালেখা করেন। তিনি “ওস্তাদ সঞ্জীব দে”, “ওস্তাদ আক্তার সাদমানী” এবং “শম্পা রেজা” আরো অনেকের কাছ থেকে ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তালিম নেন। রিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত শিখেন শ্রীনিকেতনের ড. অনুপম এবং নজরুল সঙ্গীত ও লোকগীতি শিখেন বিভিন্ন ওস্তাদের অধীনে। তার বিভিন্ন ধরনের গান মুক্তি পায় যেমন, রক, বাংলা লোকগীতি, গীতিনাট্য, উচ্চাঙ্গ (classical), গবেষণামূলক, নজরুল সঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং আধুনিক সঙ্গীত।] তার বেশিরভাগ অ্যালবাম প্রকাশ হয় যখন তিনি একজন স্কুলের ছাত্রী। তিশমা তার পড়ালেখায় রেকর্ড ফলাফল অর্জন করেন। ও লেভেলে ১০ টি A এবং এ লেভেলে ৫ টি A অর্জন করেন। ২০১২ সালে “এক্সপেরিমেন্ট” অ্যালবাম প্রকাশের পর তিনি কলেজে উপস্থিতির জন্য গণমাধ্যম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। তিনি বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ারিং এ অধ্যনয়নরত।

এই পর্যন্ত তিশমার মোট ১১ টি একক সঙ্গীত অ্যালবাম মুক্তি পায়। যার প্রত্যেকটি তালিকার শীর্ষে এবং যা বিক্রির রেকর্ড ভাঙে, এটি নিশ্চিত হয় “সঙ্গীতা” –র মাধ্যমে, তিশমা যে সঙ্গীত প্রকাশনা সংস্থার সাথে চুক্তিবদ্ধ। খ্যাতির দিকে তিশমার সাথে সঙ্গীতের এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সমকক্ষ পুরাতন লোক সঙ্গীত শিল্পী মমতাজ। শিশু শিল্পী হিসেবে তিশমার অভিষেক ঘটে ২০০২ সালের শেষের দিকে “তারা” নামের অ্যালবামের মাধ্যমে। এই অ্যালবামের মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন ধরনের সঙ্গীতের প্রচলন ঘটে যেমন, রিদম অ্যান্ড ব্লু, বীরগাথা এবং ফাঙ্ক। তিশমা’র গানগুলো বাংলা সঙ্গীতাঙ্গনে শুরু থেকে অনেক প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। বছর যেতে না যেতে, অনেক সঙ্গীত শিল্পী তিশমার অনুকরণে গান গাওয়ার চেষ্টা শুরু করে। তিশমার সঙ্গীত ক্ষেত্রে নতুনত্ব ও গবেষণামূলক সঙ্গীতে প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফলতা দেখা যায়, যদিও এখনো তার মতন খ্যাতির উচ্চতায় ও সফলতার উচ্চতায় এখনো কেউ পৌছাতে পারে নি। এবং সঙ্গীত, নৃত্যপরিকল্পনা, মিউজিক ভিডিও, ফ্যাশন, মঞ্চ ও শিল্পকলায় তিশমার প্রতিনিয়ত অবদান এখনো বাংলাদেশী শিল্পীদের অনুকরন ও উৎসাহ প্রদান করে। তিশমাকে দেশে নারীদের সঙ্গীতে উন্নয়ন তার অবদানসমূহের জন্য বাংলাদেশে একটি নারীবাদী প্রতীক হিসাবে দেখা হয়। তিশমা একজন কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সঙ্গীত প্রযোজক, ডিজে এবং এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রও বাজান যেমন, পিয়ানো, কি-বোর্ড, ড্রামস এবং গিটার। তিশমাই বাংলাদেশের সবচেয়ে কনিষ্ঠ সঙ্গীত শিল্পী যার এগারটি একক অ্যালবাম বের হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম কণ্ঠশিল্পী যার গানের ভিডিওর প্রযোজনার জন্য তাকে নির্বাচিত করে। তিশমাই বাংলাদেশী প্রথম নারী কণ্ঠশিল্পী যিনি ইংরেজি আসল গান গেয়েছিলেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

fourteen + 20 =