সব ভালো তার শেষ ভালো যার

সালেক সুফী

আজ ১৬ জুলাই ২০২২। তিন ম্যাচ ওডিআই সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ দিয়েই শেষ হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ২০২২ পর্বের মাসব্যাপী ওয়েস্ট ইন্ডজ সফর। টেস্ট সিরিজে কৃষ্ণ ধোলাই অর্জন হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অর্জন। প্রত্যাশায় বুক আছে জগৎ জোড়া কোটি ক্রিকেট অনুরাগী।

টি ২০ সিরিজে বিপর্যস্থ হবার পর দারুন ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ নিজেদের প্রিয় ফরমেট ওডিআই সিরিজে। পর পর দুই ম্যাচ অনায়েসে জিতে নিয়ে সিরিজ জয় করেছে। দুই দলের মানের আর অভিজ্ঞতার যে ব্যাবধান, তাতে বাংলাদেশ ধবল ধোলাই অর্জন হবে হবে স্বাভাবিক। জয়ের ধারা অক্ষুন্ন রাখতে হলে শেষ ম্যাচটিও হালকা করে ভাবার সুযোগ নেই। দলের নিউক্লিয়াস অক্ষুন্ন রেখে বেঞ্চ শক্তি যাচাই করতেই পারে বাংলাদেশ। বিভিন্ন মিডিয়ায় অসংখ আগাম সমীক্ষা দেখে মনে হচ্ছে টীম ম্যানেজমেন্ট যেন ওদের বলেই দিয়েছে একাদশ। আমি তামিমের কথা শুনেছি। আমি মনে করি দলের পরিবর্তন হলেও তামিম না খেলার কোনো প্রশ্নই আসে না। এটি হবে ওয়েস্টইন্ডিজে বাংলাদেশের হয়ে তামিম মাহমুদুল্লার শেষ সফর। এখানেই ২০০৭ বিশ্বকাপে মাশরাফি, তামিম, শাকিব, মুশফিক, আশরাফুল উল্কার বেগে ছুটেছিল। ভারত, দলহীন আফ্রিকাকে পরাজিত করে চমক জাগিয়েছিল। ১০ টি ওডিআই ম্যাচ ক্রমাগত জিতেছে বাংলাদেশ। দলে দুটি বা তিনটি পরিবর্তন হলেও দলের ভারসাম্য পরিবর্তন হবে না। তবে আমি ঢাল পরিবর্তনে বিশ্বাসী নই। তামিম না খেলার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। বিজয়কে অবশ্যই শান্তর স্থানে খেলানো যেতে পারে। এবাদত এবং তাসকিন খেলতে পারে শরিফুল এবং মুস্তাফিজকে বিশ্রাম দিয়ে। আমি মনে করি তাইজুলকেও খেলানো যায় মোসাদ্দেককে বিশ্রাম দিয়ে। নাসুম,  মেহেদী, তাইজুলের ৩০ ওভার এই উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাটটিঙের টুটি চেপে ধরবে। বিজয়কে না খেলানো হবে অন্যায়। স্থিত হতে সময় দিতে হবে। আমার বিবেচনায় দল হতে পারে বিজয়কে দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে নিজেকে আবারো দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। আর যে উইকেটে খেলা হচ্ছে বাংলাদেশ এমনকি একজন পেসার রেখে ৪ জন স্পিনার নিয়েও খেলতে পারে।

তামিম,  লিটন, বিজয়, আফিফ,  মাহমুদুল্লাহ,  সোহান, মেরাজ,  তাইজুল/মোসাদ্দেক, নাসুম,  তাসকিন এবং এবাদত এটাই সেরা একাদশ।

মনে রাখতে হবে ঘুরে দাঁড়ানোর মরণ পন চেষ্টা করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুটি ম্যাচ হেরে ওদের নিশ্চিত ধারণা হয়েছে কি করতে হবে ওদের। বেপরোয়া থাকবে ওরা অন্তত শেষ ম্যাচ জিতে নেয়ার। আমি তামিমের আর একটি কথার গুরুত্ব দিচ্ছি। আমিও একমত ২০২৩ বিশ্ব কাপ হবে বাংলাদেশের সোনেলায় প্রজন্মের শেষ বিশ্ব কাপ। বাংলাদেশের চার জন তামিম,  সাকিব, মুশফিক,  মাহমুদুল্লার মতো বিশ্বমানের ক্রিকেটার অন্তত একটি বিশ্ব কাপ অর্জন করা পরম আকাঙ্খিত। ভারতে অনুষ্ঠিতব্য এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সুযোগ থাকবে। তবে অন্তত ২০ জন খেলোয়াড়র একটি সমৃদ্ধ দলকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলিয়ে সেরা কম্বিনেশন নির্ধারণ করতে হবে।

যা বলছিলাম বাংলাদেশ ভালো খেলে শেষ ম্যাচ জয় করলে দল অনেক উজ্জীবিত হবে। আগে ব্যাটিং করলে ২৫০ টার্গেট দিতে হবে হিসাব কোষে ব্যাটিং করে। একটি ম্যাচ অন্তত টার্গেট তারা করে দেখতেই পারে চাপের মুখে কেমন করে বাংলাদেশ ব্যাটিং। জয় জয়ের জন্ম দেয়। বাংলা পুরানে আছে সব ভালো তার শেষ ভালো যার।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

5 × 3 =