আদালতের নির্দেশে সরিয়ে ফেলা হলো ‘নানা-নাতি’

আদালত অবমাননা হয়েছে দাবি করে ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া ‘নানা-নাতি’ গানটির লেখক র‍্যাপার আলী হাসানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। এবার হাইকোর্টের নির্দেশে ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হলো নানা-নাতি গানটি।

গত ১৯ জুন আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে শেরপুর জেলা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট ফাহিম হাসনাঈন লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে গানে আদালত অবমাননাকারী ‘বর্তমানের কোর্টে বিচার চলে নোটে’ লাইনটি বাদ দেওয়াসহ অনলাইনে লাইভে এসে জনসাধারণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয় গানটির লেখক ও গায়ক আলী হাসানকে। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার কথা বলা হয়েছিল নোটিশে। এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে জানান, এই পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার ৭ জুলাই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে গানটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশের পর ইউটিউবে আর দেখা যাচ্ছে না নানা-নাতি গানটি। তবে আরবিটির ফেসবুক পেজে দেখা যাচ্ছে গানটি।

এ বিষয়ে জানতে মারজুক রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার সঙ্গে যা কথা হয়েছে, তা আলী হাসানের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে কথা বলেই গানটি করেছি। এ বিষয়ে আলী হাসানই ভালো বলতে পারবেন।’ আলী হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

আলী হাসান ও মারজুক রাসেলের গাওয়া নানা-নাতি গানটি প্রকাশ পায় গত ১৬ জুন আরবিটি এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে। প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গানটি লিখেছেন র‍্যাপার আলী হাসান, সুর করেছেন আলী হাসান ও মারজুক রাসেল। নানা ও নাতির আবহমান বাংলার দুটি চরিত্রের কথোপকথনে উঠে এসেছে বাংলার অতীত ও বর্তমানের সামাজিক প্রেক্ষাপট।

যেখানে নানা তুলে ধরেছেন তাঁদের সময়ের সামাজিক রীতিনীতি ও জীবনমানের গল্প। আর নাতি তুলে ধরেছেন এই সময়ের চিত্র। গানের ভিডিওতে নানার বেশে মডেল হয়েছেন মারজুক রাসেল ও নাতির বেশে আলী হাসান।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

5 × five =