বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানে অন্যরকম উত্তেজনা। মাঠেও সেই আবহ তৈরি করে খেলেছে দুই দল। কিন্তু জয়ের মুখ দেখতে পারেনি কেউই। আগেই দুই দলের তিন পয়েন্ট নিশ্চিত হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে যে কেউ জিততে পারলেই ফাইনাল নিশ্চিত হতো। কিন্তু সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে দুই দলের ম্যাচটি শেষ হলো গোলশূন্য ড্র দিয়ে। দুই ম্যাচে দুই দল চার পয়েন্ট করে পেয়েছে। এখন রাউন্ড রবিন লিগ পর্বে শেষ ম্যাচের ওপর নির্ভর করছে কোন দুটি দল খেলবে ফাইনালে।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণনির্ভর ম্যাচটিতে দুই দলই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মিলেনি। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রবিবার ম্যাচের প্রথমার্ধের শুরুর দিকে ভারত চাপে রাখার চেষ্টা করে বাংলাদেশকে। দৈহিক গড়ন ও স্কিলের দিক দিয়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল ময়মল রকির দল। তবে স্বাগতিকদের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেনি।
ম্যাচঘড়ির ৭ মিনিটে ভারত ভালো সুযোগ তৈরি করে। মধ্যমাঠ থেকে সতীর্থ খেলোয়াড়ের পাসে ফাঁকায় সুমাতি কুমারি বক্সে ঢুকে লক্ষ্যে শট নিলেও রূপনা চাকমা দারুণ দক্ষতায় পা বাড়িয়ে গোল বাঁচান। ১৪ মিনিটে সতীর্থের কর্নারে সুনিতা মুন্দার জোরালো হেড গোলকিপার কোনোমতে তালুবন্দি করেন। কিছুটা গুছিয়ে নিয়ে স্বাগতিকরা আগ্রাসী ফুটবল খেলার চেষ্টা করে। আক্রমণও হয়েছে। ২৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে স্বপ্না রানীর জোরালো শট গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়ে গোল হতে দেননি।
৬ মিনিট পর সতীর্থের কর্নার থেকে সুরমা জান্নাতের সাইড ভলি ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে মাঠে আসা হাজারো সমর্থক হতাশ হয়। ৩৮ মিনিটে শাহেদা আক্তার রিপার দূরপাল্লার ফ্রি-কিক ক্রসবারের ওপর দিয়ে গিয়ে সুযোগ নষ্ট হয়।বিরতির পর ড্রেসিংরুম থেকে ফিরে এসে দুই দল একই গতিতে খেলতে থাকে। একবার ভারত আক্রমণ করছে, তো আবার বাংলাদেশ। ৬২ মিনিটে ভারতের নেহার ৬ গজ দূরত্ব থেকে নেওয়া প্লেসিং শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। ৭৮ মিনিটে শামসুন্নাহার কর্নার থেকে বল পেয়ে পোস্টের অনেক দূর দিয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন।
শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে দুই দলকে। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের বিপক্ষে এক পয়েন্ট পাওয়া ভারতের খেলোয়াড়দের উল্লাস করতে দেখা গেছে। সাইড লাইনে এসে পানি ছিটিয়ে সময়টা উদযাপন করেছে তারা।আগামী মঙ্গলবার বাংলাদেশ লিগ পর্বে শেষ ম্যাচ খেলবে অপেক্ষাকৃত ভুটানের বিপক্ষে। আর ভারত মুখোমুখি হবে নেপালের। শেষ ম্যাচে নিষ্পত্তি হবে কোন দুটি দল খেলবে ফাইনালে।
বাংলা ট্রিবিউন