সুবর্ণজয়ন্তীতে ঢাকা থিয়েটারের বছরব্যাপী আয়োজন

১৯৭৩ সালে যুগল নাটকের প্রদর্শনী দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’। নাটক দুটি হচ্ছে—নাসির উদ্দীন ইউসুফ নির্দেশিত ‘সংবাদ কার্টুন’ এবং হাবিবুল হাসান নির্দেশিত ‘সম্রাট ও প্রতিদ্বন্দ্বীগণ’। দলের নাটকের প্রথম প্রদর্শনীর জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিল ২৯ জুলাই। কিন্তু সেদিন তুমুল বৃষ্টিতে পানি উঠে গিয়েছিল ঢাকা জেলা ক্রীড়া সমিতি মিলনায়তনে। ফলে মঞ্চায়ন সম্ভব হয়নি।

পরে নভেম্বরে ২ টাকা দর্শনীর বিনিময়ে অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা থিয়েটারের নাটকের প্রথম প্রদর্শনী। তবে দলটি ২৯ জুলাইকে তাদের প্রতিষ্ঠার দিন বিবেচনা করে। সেই হিসাবে আসছে ২৯ জুলাই ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে ঢাকা থিয়েটারের।

সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে ঢাকা থিয়েটার। এই আয়োজনের সূচনা হবে ২৮ জুলাই শুক্রবার বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলের সামনের লবিতে। সুবর্ণজয়ন্তীর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, মামুনুর রশীদ, ম হামিদ ও সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী। এরপর বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে থাকবে ‘প্রাচ্য ও দ্বৈতাদ্বৈতবাদ’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী। ২৮ ও ২৯ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে সেলিম আল দীনের নাটক ‘প্রাচ্য’।

ঢাকা থিয়েটারের দলপ্রধান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘দীর্ঘ অর্ধশত বছরের পথযাত্রায় ঐতিহ্যাশ্রয়ী এমন এক আঙ্গিক নির্মাণে তৎপর ছিল ঢাকা থিয়েটার, যা হবে যুগপৎ দেশজ ও আন্তর্জাতিক। এই কঠিন কাজ সম্ভব হয়েছে দর্শকের অকুণ্ঠ ভালোবাসার কারণে।’ বছরব্যাপী আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগস্ট মাসের ১৮, ১৯ তারিখে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সম্মেলন করা হবে। এরপর লোকনাট্য উৎসব হবে।

সেলিম আল দীনের জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন থাকবে। সেপ্টেম্বর মাসে বিশেষ সেমিনার হবে। অক্টোবর মাসে আবার একটা নাট্যোৎসব করব। নভেম্বর পর্যন্ত এভাবেই চলবে। পরের বছর নতুন নাটকসহ ঢাকা থিয়েটারের ছয়টি বড় প্রযোজনা যেমন ‘যৈবতী কন্যার মন’, ‘চাকা’, ‘বনপাংশুল’—এগুলো মিলিয়ে একটা নাট্যোৎসব করার ইচ্ছা আছে।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

nine − 4 =