সৌম্য-তামিম-লিটনের ফিফটিতে জিতলো বাংলাদেশ

লেগ স্পিন বোলিং তার আসল কাজ। তবে ব্যাটিং একেবারেই খারাপ করেন না। রিশাদ হোসেন প্রথমবার জাতীয় দলের ওয়ানডে স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন। তাকে উড়িয়ে নেওয়া হয়েছে নিউ জিল্যান্ড। প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিংয়ে দারুণ অবদান রেখে মূল একাদশে সুযোগ পাওয়ার দাবি জানিয়ে রাখলেন।

বৃহস্পতিবার বার্ট সাটলিফ ওভালে নিউ জিল্যান্ড নির্বাচিত একাদশকে ২৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ৪৯.৫ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে নিউ জিল্যান্ড একাদশ দারুণ জবাব দেওয়ার পরও থেমে যায় ৩০৮ রানে।

চমকে দেওয়া রিশাদ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন। ৫৪ বলে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ান। মূলত তার বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ শেষ দিকে বড় পুঁজি পায়। ব্যাট হাতে নিজেদের ভালোভাবে ঝালিয়ে নিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার ও লিটন দাশ। তিনজনই পেয়েছেন ফিফটির স্বাদ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি।

তানজিদ ৪৬ বলে ৫৮ (৫ চার ও ৪ ছক্কা), সৌম্য ৫৬ বলে ৫৯ (৮ চার ও ১ ছক্কা), লিটন ৬৩ বলে ৫৫ (৫ চার ও ১ ছক্কা) রান করেন। ভালো করতে পারেননি এনামুল, তাওহীদ, আফিফ। ওপেনিংয়ে নেমে এনামুল ২৬ বলে করেন ৩৩ রান। তাওহীদ ৫ বল খেলে খুলতে পারেননি রানের খাতা। জাতীয় দলে ফেরা আফিফ ১৩ বলে করেন ১০ রান।

বাংলাদেশ ২৮.৩ ওভারে পঞ্চম ব্যাটসম্যান আফিফকে হারালে ক্রিজে আসেন রিশাদ। সেখান থেকে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত একা টেনে দলের রান চূড়ায় নিয়ে যান। ১৬১.১ স্ট্রাইক রেটে সাজানো ইনিংস খেলে নিজের ব্যাটিং সামর্থ্য খুব ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন এই তরুণ ক্রিকেটার।

নিউ জিল্যান্ডের বোলারদের হয়ে সামরাত সিং ৭৩ রানে পেয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন জেমস হারস্টন ও জোয়ে ফিল্ড।

ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দ্যুতি ছড়ান রিশাদ। ৫২ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। তার অলরাউন্ড নৈপূণ্যে বাংলাদেশ প্রস্তুতি ম্যাচে জয় পেয়েছে সহজেই।

রিশাদ বাদে বল হাতে সফল হয়েছেন আফিফ হোসেন ও হাসান মাহমুদ। দুজন ২টি করে উইকেট পেয়েছেন। এছাড়া তানজিম হাসান সাকিব ১ উইকেট পেয়েছেন। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন অধিনায়ক পোপলি। ৯০ বলে ইনিংসটি সাজান তিনি। এছাড়া পাটেল ৭৭ বলে ৮৯ রান করেন। দুজনের জুটিতে কিউইরা দারুণ জবাব দিচ্ছিল। কিন্তু এ জুটি ভাঙার পর বাংলাদেশ ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।

এবারের সফরে বাংলাদেশ তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে। ১৭ ডিসেম্বর প্রথম ওয়ানডে হবে ডানেডিনে। পরের দুটি ওয়ানডে ২০ ও ২৩ ডিসেম্বর যথাক্রমে নেলসন ও নেপিয়ারে। তিনটি ওয়ানডে শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায়।

তিনটি টি-টোয়েন্টি হবে যথাক্রমে ২৭, ২৯ ও ৩১ ডিসেম্বর। প্রথম ম্যাচ নেপিয়ারে। পরের দুটি মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি শুরু হবে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে। শেষ ম্যাচ ভোর ৬টায়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

two × five =