হলি আর্টিজানে নিহত জাপানিদের নামফলক থাকবে মেট্রো স্টেশনে

২০১৬ সালে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলায় নিহত মেট্রোরেলের ৭ জাপানি পরামর্শককে শ্রদ্ধা জানাতে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রোরেল স্টেশনে তাদের নামফলক থাকবে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের নামটি যেন স্মরণ থাকে, আমরা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা মেট্রোরেলের কয়েকটি স্টেশনে তাদের নামফলক রাখব। উত্তরা দিয়াবাড়ির মেট্রোরেল প্রদর্শনী ও তথ্যকেন্দ্রে তাদের নামফলক স্মৃতিস্মারক আমরা স্থাপন করেছি।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) উত্তরার দিয়াবাড়িতে দেশের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ এর উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন তিনি। উদ্বোধনপর্বে প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন হলি আর্টিজানে প্রাণ হারানো সাত জাপানি পরামর্শককে। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের ওই রেস্টুরেন্টটিতে খেতে গিয়েছিলেন তারা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের সমীক্ষার পাশাপাশি ঢাকার যানজট ব্যবস্থাপনা নিয়েও গবেষণা করছিলেন এই প্রকৌশলীরা। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ যায় তানাকা হিরোশি, ওগাসাওয়ারা, শাকাই ইউকু, কুরুসাকি নুবুহিরি, ওকামুরা মাকাতো, শিমুধুইরা রুই ও হাশিমাতো হিদেইকোর। এই ঘটনায় মেট্রোরেল প্রকল্পে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, এই আলোচনার মধ্যে জাপান সরকার বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়। তারা স্পষ্ট করেই বলে, সন্ত্রাসবাদীরা উৎসাহী হবে, এমন কোনো কাজ তারা করবে না।

পরে ৩ জুলাই জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শেইজি কিহারার নেতৃত্বে একটি দল ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। এরপর দেশটির সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন শেখ হাসিনা।

নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি সমবেদনা জানাই সবার পরিবারকে। আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী (শিনজো আবে), যিনিও ঘাতকের বুলেটের আঘাতে শাহাদাৎ বরণ করেছেন মাত্র কিছুদিন আগে। কারণ, এই কাজ তিনি বন্ধ করে দেননি। কিছু দিনের জন্য থেমেছিল। কিন্তু তার নির্দেশে আবার মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

শ্রদ্ধার পাশাপাশি এই প্রকল্পে জাপানিদের নাম চিরদিনের স্মরণ করতে উদ্যোগের কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের মেট্রোরেলের কয়েকটি স্টেশনে, তাদের নামফলক আমরা রাখব। উত্তরা দিয়াবাড়ির মেট্রোরেল প্রদর্শনী ও তথ্যকেন্দ্রে তাদের নামফলক স্মৃতিস্মারক আমরা স্থাপন করেছি। তাদের নামটি যেন স্মরণ থাকে, আমরা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

three × 5 =