হাড্ডা হাড্ডি লড়াই শেষে স্বস্তির অবস্থানে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ৪৯৫ এবং ১৭৭/৩, শ্রীলংকা ৪৮৫

গল টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে সাত উইকেট হাতে নিয়ে ১৮৭ রানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। উইকেটে টার্ন আছে, বাউন্স কিছুটা অসম। আজ শেষ দিনে উইকেটের চরিত্র খুব বড় পরিবর্তন না হলে টেস্ট সম্ভবত ড্র হবে। বাংলাদেশ প্রথম সেশন খেলে ৩০০র কাছাকাছি লিড নিয়ে চৌকষ বোলিং ফিল্ডিং করে টেস্ট জিতে নেয়ার সুযোগ থাকবে। মনে হয় না ৬০ ওভারে ক্ষয়িষ্ণু উইকেটে শেষ ইনিংসে টার্গেট তাড়া করে টেস্ট জয় করতে পারবে স্বাগতিক দেশ শ্রীলঙ্কা।

তৃতীয় দিনে নির্বিষ বোলিং করার পর কাল বাংলাদেশ তুখোড় বোলিং এবং ফিল্ডিং করে বাংলাদেশ শ্রীলংকা দলের ইনিংস ৪৮৫ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১০ রানের সামান্য লিড পায়। দ্বিতীয় ইনিংসেও আনামুল হক শুরুতেই বিদায় নেয়। ভালো খেলতে থাকা মোমিনুল দুৰ্ভাগ্যজনকভাবে আউট হলে ৬০ রানে দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশ বিপদে পড়ে। উইকেট কিছুটা বোলিং বান্ধব হয়ে ওঠে। কিন্তু ওপেনার সাদমান (৭৬) এবং অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (৫৬*) তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৮ রান যোগ করে বিপদ সামাল দেয়। একটি নিচু হয়ে আসা বলে সাদমান ফায়ার গেলেও দিন শেষে উইকেটে আছে প্রথম ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল শান্ত আর মুশফিকুর রহমান। বাংলাদেশ শেষ করেছে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান। আজ শেষ দিনের খেলা দারুন জমে উঠেছে। কাগজে কলমে ড্র বা দুই দলের জয়ের সম্ভাবনা থাকলেও টেস্ট অনেকটাই বাংলাদেশের দিকে ঝুকে পড়েছে।গল উইকেট ঐতিহ্যগত ভাবে শেষ চার সেশনে চরিত্র পাল্টায়। বাংলাদেশ যদি ৩০০ রান লিড নিয়ে ইনিংস ছেড়ে দেয় তাহলে শেষ দুই সেশন টেস্ট আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

অথচ চতুর্থ দিন সকালে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ৪৯৫ রানের জবাবে ৩৮৮/৪ অবস্থানে থাকা শ্রীলংকা দাপুটে অবস্থানে ছিল। দিনের শুরুতেই বাংলাদেশ বোলাররা ধনঞ্জয় ডি সিলভা (১৯) আর কুশল মেন্ডিজের (৫) উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেয়। উইকেটে কিছুটা ভাঙ্গন দেখা দেয়।  টার্ন ছিল।  কিন্তু কামিন্দু মেন্ডিস (৮৭) এবং মিলান রত্নায়েকে (৩৯) ৭ম উইকেট জুটিতে ৮৪ রানের জুটি গড়ে দিয়ে শ্রীলংকাতে সংগ্রহ বাংলাদেশের কাছে নিয়ে যায়। সম্ভাবনা জাগে শ্রীলংকার এগিয়ে যাবার। কিন্তু চতুর্থ দিন লাঞ্চ বিরতির পর নাঈম হাসান ৯৫/১২১) এবং হাসান মাহমুদ (৩/৭৪) দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলংকার ইনিংস ৩৮৫ রানে গুটিয়ে দেয়। ১০ রানের মামুলি লিড পায় বাংলাদেশ। শ্রীলংকান ইনিংসে উইকেটের পিছনে লিটন দাসের কয়েকটি ক্যাচ ছিল অসামান্য দক্ষতার।

সৌভাগ্য বাংলাদেশের। বরাবরের মত চাপের মুখে ভেঙে পড়েনি। সাদমান এবং শান্ত দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাটিং করে। ৭ উইকেট হাতে রেখে ১৮৭ রান এগিয়ে থেকে বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখতেই পারে টেস্ট জয়ের। উইকেটে টার্ন আছে, বাউন্স অসম। তবে এই উইকেটে টেস্টের শেষ দিকে তাইজুল, নাঈমকে উইকেটের বাড়তি সুবিধার সুযোগ নিতে হবে। ফিল্ডিং তুখোড় হতে হবে। দেখতে হবে অধীর আগ্রহে আজকের শেষ দিনের খেলা। বাংলাদেশ মেহেদী হাসান মিরাজকে দারুন মিস করছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

seventeen − 7 =