১৪ বছর পর বাংলা সিনেমায় শর্মিলা ঠাকুর

অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের উপস্থিতিতে রূপালি পর্দা ঝলমল করতো। জনপ্রিয়তায় তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সে অনেক আগের কথা। আজকাল চলচ্চিত্রে বর্ষীয়ান এ অভিনেত্রীকে দেখা যায় না বললেই চলে। তাই আলোচনার টেবিলেও নিয়মিত নন। তবে আবার শিরোনাম হয়েছেন টাইগার পাতৌদি ঘরণী। সেপ্টেম্বরে খবর এসেছে ১৪ বছর ঘরে ফিরছেন শর্মিলা ঠাকুর। একটু খুলে বলা যাক। টাইগার পতৌদিকে বিয়ে করে মুম্বাই থিতু হলেও বাঙালি কন্যা শর্মিলার জন্ম শৈশব কৈশোর সব কেটেছে কলকাতায়। চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় বাংলা ছবির মাধ্যমে। কিংবদন্তি নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের ‘অপুর সংসার’ সিনেমায় অভিনয় দিয়ে অভিষেক হয় তার। এরপর অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দেন শর্মিলা।

মনসুর আলী খান পাতৌদির সঙ্গে বিয়ের পর কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে চলে যান তিনি। এরপর থেকেই বাংলার সঙ্গে দূরত্বটা একটু একটু করে বাড়তে থাকে। শর্মিলাকে সবশেষ বাংলা ছবিতে দেখা গিয়েছিল ২০০৯ সালে। ‘অন্তহীন’ নামে এক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। এরপর কেটে গেছে ১৪ বছর। শেকড়ের টানে মাঝে মাঝেই কলকাতা উড়ে গেছেন অভিনেত্রী। কিন্তু নাম লেখাননি কোনো সিনেমায়। প্রায় দেড় দশক পর সেই অসাধ্যটি সাধন করেছেন টলিউড পরিচালক সুমন ঘোষ। তার ‘পুরাতন’ নামের একটি ছবিতে নাম লেখাতে সম্মতি দিয়েছেন শর্মিলা ঠাকুর। মা মেয়ের গল্পকে উপজীব্য করে এগিয়ে যাবে ছবিটি। শর্মিলার মেয়ের চরিত্রে থাকবেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ছবিটির প্রযোজকও তিনি।

এরইমধ্যে কলকাতা শহরের একটি পাঁচতারকা হোটেলে শর্মিলার উপস্থিতিতে মহরত হয়েছে চলচ্চিত্রটির। সেখানে শর্মিলা বলেন, আজও আমার হৃদয়ে কলকাতা জেগে আছে। আমি কলকাতাকে ভালোবাসি। আমার লেখাপড়া, অভিনয়জীবন; সবই শুরু এই কলকাতাকে কেন্দ্র করে। তাই তো আমি এই ছবির পাণ্ডুলিপি পড়ে মুগ্ধ হয়ে অভিনয় করার জন্য সম্মতি দিয়েছি। আমি মনে করি, এই ছবি ভালো লাগবে কলকাতার চলচ্চিত্রপ্রেমীদের। আজও কলকাতা আমার প্রাণের শহর। এক নস্টালজিয়া।’

চার হাত এক হলো রাঘব-পরিণীতির

ঢাকঢোল বাজিয়ে হয়ে গেল বলিউড তারকা পরিণীতি চোপড়া এবং রাজনীতিবিদ রাঘব চাড্যের বিয়ে। ক্যাটরিনা-আলিয়াদের পর বি-টাউন দেখল আরও এক রাজকীয় বিয়ের ছবি। অনেকদিন ধরেই রাঘব-পরিণীতিকে নিয়ে চলছিল গুঞ্জন। তবে তারা মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছিলেন। শেষে মে মাসে বাগদান সম্পন্ন করার মাধ্যমে এসবের উত্তর দেন রাঘব-নীতি। তারপর থেকেই গুঞ্জন চলছিল এ জুটির বিয়ে নিয়ে।

সেই গুঞ্জনে জল ঢালেন তারা। বেশ কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল ২৪ সেপ্টেম্বর চার হাত এক হবে তাদের। কথামতো তাই হয়েছে। এদিন উদয়পুরের লেক প্যালেসে বসেছিল তাদের বিয়ের আসর। নিরাপত্তা ও আয়োজন কোনোটারই কমতি ছিল না। দুই অঙ্গনের দুজন নামকরা ব্যক্তিত্ব হওয়ায় নামজাদা সব অতিথির সমাগম হয়েছিল উদয়পুরের প্যালেসে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, সস্ত্রীক ক্রিকেটার হরভজন সিং, টেনিস খেলোয়াড় সানিয়া মির্জা, ফ্যাশন ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রার ছিলেন অতিথি হিসেবে।

২৩ সেপ্টেম্বর গায়ে হলুদ হয় রাঘর-পরিণীতির। পরদিন ২৪ সেপ্টেম্বর গোটা শহর যেন ভাসছিল তাদের বিয়ের আনন্দে। শহরজুড়ে ব্যানার টানানো হয়েছিল, পরিণীতি ওয়েডস রাঘব। রাজনীতিবিদ রাঘব দিল্লিতে বেড়ে উঠেছেন। বর্তমানে ভারতীয় রাজনীতির একজন তরুণ নেতা। তিনিও এসেছিলেন বেশ রাজকীয় কায়দায়। ঘোড়া নয়, গাড়ি নয় বরযাত্রী নিয়ে তিনি বিয়ে করতে এসেছিলেন রাজকীয় এক নৌবহরে চেপে। সব মিলিয়ে যেন আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের মিশেল। বরযাত্রীসহ রাঘবকে বরণ করে নেওয়ার মাঝেও ঘাটতি ছিল না। রাজস্থানি সংস্কৃতি অনুযায়ী তাদের স্বাগত জানানো হয় লীলা প্যালেসে।

অন্যদিকে কনে সাজে পরিণীতি যেন হয়ে উঠেছিলেন স্নিগ্ধ পরী। পোশাকের স্নিগ্ধতা আর হীরা জহরতের অলংকারে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছিলেন তিনি। সূর্য যখন ডুবি ডুবি তখন চার হাত এক হয় তাদের। সূর্য দেবতাকে সাক্ষী রেখে পাঞ্জাবি রীতিতে পরিণীতি অর্ধাঙ্গিনী হন রাঘবের। লীলা প্যালেসের ভেতর-বাহিরে তখন গুনগুন করছিল ধড়কন ছবির গান ‘দুলহে কা সেহরা’। আর স্বামীর হাত ধরে নৌকায় যখন বিদায় নেন তখন ভেসে আসে ‘অ্যায় কবিরা’ গান। এ গানের সুরেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর করেন অভিনেত্রী।

বলে রাখা ভালো, পরিণীতির বিয়ে উপলক্ষ্যে দুই দিন ধরে উৎসবে মেতেছিল উদয়পুর। তবে কথা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বসবে রাঘব-পরিণীতির বউভাতের অনুষ্ঠান। বিশেষ করে এই বউভাতের আয়োজন করার কথা ছিল রাঘবের জন্য। কেননা তার বেড়ে ওঠা দিল্লিতে। রাজনীতি অঙ্গনের বন্ধু ও সহকর্মীদের কথা মাথায় রেখেই এই অনুষ্ঠানের কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু সে আর হয়ে ওঠেনি। অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেন রাঘব-পরিণীতি। কিন্তু কেন বাতিল করেছেন তা কিছু জানাননি। তার পরিবর্তে ৪ অক্টোবর মুম্বাইয়ে রিসেপশনের আয়োজন করেন তারা।

পরিণীতি-রাঘবের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন-ফিসফাস শুরু হয় রেস্তরাঁ-কাণ্ড থেকে। মুম্বাইয়ের এক অভিজাত রেস্তরাঁয় প্রথমে দুজনকে একসঙ্গে ডিনার করতে দেখা যায়। তারপরই আবার আরেক রেস্তরাঁয় লাঞ্চের জন্য যান দুজন। এতেই প্রেমের জল্পনা জোরালো হয়। আর তারপরের গল্পটা তো মিলনের।

এক ছবিতে তিন রাজ

নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর শিষ্য তিনি। নির্মাণে নেমে হাত পাকিয়েছেন নাটকে। সিনেমায়ও ক্যারিয়ার শুরু করেছেন অনেক দিন। এরইমধ্যে নির্মাণ করেছেন পাঁচটি সিনেমা। সম্প্রতি শেষ করেছেন তার ষষ্ঠ সিনেমার কাজ। সামাজিক মাধ্যমে বেশ নাটকীয়ভাবে ছবিটির ঘোষণা দিয়েছিলেন রাজ। ‘ওমর’ নামের এ ছবির প্রথম ঘোষণায় রাজ জানান, সময়ের তিন শক্তিশালী অভিনেতা যুক্ত হচ্ছে ওমরে। তারা হলেন শহীদুজ্জামান সেলিম, নাসির উদ্দিন খান ও ফজলুর রহমান বাবু। কিন্তু গল্প শেষ করেও শেষ করেননি সেখানে। ছবিটির নাম ভূমিকায় কোন অভিনেতা আছেন তা রেখেছিলেন গোপন। জানিয়েছিলেন বিষয়টি চমক হিসেবে রাখছেন তিনি। এর কদিন পরই রাজের ফেসবুকে ভেসে ওঠে কয়েকটি ছবি। তাতে নির্মাতা রাজের সঙ্গে দেখা যায় অভিনেতা শরিফুল রাজসহ আরও একজনকে। বিষয়টি ক্যাপশনে খোলাসা করেন নির্মাতা। তিনি জানান, দুই রাজের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিটিও রাজ। তবে তার কাজ ক্যামেরায়। অচেনা রাজ মূলত ক্যামেরাম্যান।

এ প্রসঙ্গে নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ লিখেছিলেন, ‘ওমর’ সিনেমার নাম ভূমিকায় যাকে নির্বাচন করেছি তার সাথে আমার নামের মিল আছে। আমি রাজ, সেও রাজ। শরিফুল রাজ। ‘ওমর’ সিনেমার ওমর হয়ে দর্শকদের সামনে আসবেন রাজ। আমার নতুন সিনেমার নাম ভূমিকায় তাকে পেয়ে আমি খুশি। সেই সঙ্গে অনেক আশাবাদী। রাজের অভিনয় নৈপুণ্য নিয়ে আলাদাভাবে বলার কিছু নেই। আমাদের সঙ্গে আছেন আরেক রাজ। তিনি হলেন চিত্রগ্রাহক রাজু রাজ। আমরা তিন রাজ একসাথে আসছি।

দিকে এমন নাটকীয় কায়দায় ছবির খবর পেয়ে নেটিজেনরা বেশ নড়েচড়ে ওঠেন তখন। তাছাড়া ‘পরাণ’ সিনেমার রোমানের কথা ভোলেননি তারা। তাই শরিফুল রাজের প্রতি তাদের রয়েছে বাড়তি আগ্রহ। ওই আগ্রহের জায়গা থেকে তারাও অপেক্ষায় আছেন তিন রাজের ওমরের।

লেখাটির পিডিএফ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন: ফ্রেমবন্দি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

fourteen − ten =