৩০ ডিসেম্বর পরিচালক সমিতির নির্বাচন

৩০ ডিসেম্বর হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন। জানা গেল, কাজী হায়াৎ-শাহীন সুমন ও মুশফিকুর রহমান গুলজার-জাকির হোসেন, এই দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তিন প্যানেলের কথা প্রথমে শোনা গেলেও শেষে জানা গেলো দুই প্যানেলের অংশগ্রহণে হবে এবারের নির্বাচন।

১৯ সদস্যের কমিটির বিপরীতে ৪১টি মনোনয়ন জমা পড়েছে।নির্বাচন কমিশনের অন্যতম সদস্য শামসুল আলম জানান, গত বুধবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। সভাপতি, মহাসচিবসহ ৯টি সম্পাদকীয় পদের বিপরীতে ১৯টি ও ১০টি কার্যকরী সদস্যপদের বিপরীতে ২২টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা নোটিশ বোর্ডে প্রার্থীদের খসড়া তালিকা ঝুলিয়ে দিয়েছি। কয়েক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করব।

গুলজার প্যানেলে কার্যকরী কমিটির সদস্য (ইসি) পদে নির্বাচন করছেন সোহান। দুই প্যানেল থেকেই গত বুধবার নির্বাচন কমিশনে পূর্ণ সদস্যের প্যানেল মনোনয়ন জমা দিয়েছে। এর বাইরে কোষাধ্যক্ষ ও দুই ইসি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

গতবারও সভাপতি পদে লড়ে জিততে পারেননি কাজী হায়াৎ। এবারও একই পদে নির্বাচন করছেন তিনি। এই নির্মাতা বলেন, সিনেমাশিল্প নিয়ে আমার যে ভাবনা সেটা সিনেমার জন্য কাজে লাগাতে চাই। সে জন্য নির্বাচনে আসা। দেখি এবার কী হয়।

পরপর দুবার এই সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, মাঝখানে এক মেয়াদ বাদ দিয়ে আবারও সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন মুশফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সরকার চলচ্চিত্রের জন্য কাজ শুরু করেছে। সরকারের সঙ্গে আমরা সম্মিলিতভাবে চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে চাই। সিনেমার নির্মাণসংখ্যা বাড়াতে সবচেয়ে বেশি জোর দেব। সেটা আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকেই করব। আমার বিশ্বাস, আমি জয়ী হব।

ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, এফডিসিতে পরিচালক ও শিল্পী-কলাকুশলীদের আনাগোনা তত বাড়ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিচালক সমিতির আশপাশে, বিশেষ করে এফডিসি বাগান, ক্যানটিন চত্বরে পরিচালক, শিল্পী, কলাকুশলীদের জটলা দেখা যাচ্ছে। ফোনে খুদে বার্তা, এমনকি ভোটারদের বাসায় বাসায় গিয়েও ভোট প্রার্থনা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৩৮৮।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

six − one =