অঘটন ঘটানোর সক্ষমতা আছে বাংলাদেশের

সালেক সুফী

আজ ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫। রাত পোহালেই বাংলাদেশী জাতি গৌরব আর গর্বের সঙ্গে স্মরণ করবে ভাষা শহীদদের।  মাঝ রাতের পর প্রথম প্রহর থেকে জাতীয় শহীদ মিনার সহ দেশ প্রবাস সকল স্থানে কৃতজ্ঞ বাঙালি শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে ফুয়েল শ্রদ্ধা জানাবে বরকত, সালাম, রফিক,শাফিঊলদের।  আজ কিন্তু বাংলার রয়েল বেঙ্গল টাইগারদের বিক্রমে হুঙ্কার করে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে লড়াই করার সুযোগ আছে ভারতের বিরুদ্ধে। প্রতিপক্ষ দারুন শক্তিশালী ,আইসিসির সবুজ নয়নের দল। শিরোপা জয়ের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। বাংলাদেশের পুঁজি লড়াই করার প্রচন্ড মনোবল। এমননা যে অতীতে বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে কখনো জিতে নি।  ২০০৭, ২০১৫ এমনকি কিছু দিন আগে বাংলাদেশে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। হারাবার কিছু নেই বাংলাদেশের। আজ সঠিক পরিকল্পনা করে মাঠে ক্লিনিক্যাল প্রিসিশন করে বাংলাদেশ প্রতাপশালী ভারতকে ধরাশায়ী করতেও পারে। সেটি অনেক অনেক কঠিন হলেও অসম্ভব নয়.

ভারত দলে জাসপ্রিত বুমরা না থাকায় অবশ্যই বাংলাদেশকে স্বস্তি দিয়েছে। তবে পিছিয়ে খুব একটা নেই মোহাম্মদ সামি, আর্শদীপ সিংহ, হর্ষিত রানা, হার্দিক পান্ডিয়ার সম্মিলনে ভারতের পেস ব্যাটারী।  অফ স্পিনার, লেগ স্পিনার, চায়নামান কি নেই ভারতের বোলিং ভাণ্ডারে। তবে বাংলাদেশ নাম থেকে ভড়কে যাওয়ার দল না. তানজিদ তামিম ,সৌম্য সরকারের অবশ্যই যোগ্যতা আছে উড়ন্ত সূচনা দেয়ার। জানিনা কতটুকু ম্যাচ প্রস্তুতি আছে নাজমুল হোসেন শান্তর।  বিপিএল ২০২৫ শান্তকে সাইড লাইনে বসিয়ে রাখা সমীচীন হয় নি তামিম ইকবালের। সূচনায় দুটি, মিরাজ, মাহমুদুল্লার। শেষদিকে আছে জাকের হাসান অনিক আর রিশাদ হোসেন। দুবাই উইকেট স্পিন সহায়ক হতে পারে, তাই বাংলাদেশকে কুলদ্বীপকে দেখে শুনে খেলতে হবে. আগে ব্যাটিং করে ২৮০-৩০০  রান করলে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা থাকবে। কাজটা মুখে বলা যতটা সহজ মাঠে করা কিন্তু ততটাই কঠিন।

বাংলাদেশের পেস আক্রমণ কিন্তু এখন অনেক উন্নত। তাসকিন, মুস্তাফিজের সঙ্গে তানজিম সাকিব বা নাহিদ রানা যাকেই নেয়া হোক রোহিত শর্মা, শুভমান গিল আর ভিরাট কোহলি কিন্তু তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারবে না। স্পিন আক্রমণে মেহেদী মিরাজের সঙ্গে আমি রিশাদ হোসেনকে খেলানোর পরামর্শ দিবো। ভারতের প্রধান শক্তি ১-৯ পর্যন্ত ব্যাটিং গভীরতা। শুরুতে ২-৩ উইকেট পরে গেলেও ঋষভ প্যান্ট, হার্দিক পান্ডিয়া ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিতে পারে।  বাংলাদেশ বোলারদের অবস্যই ভড়কে গেলে চলবে না। স্নায়ুর চাপ থাকবে।  কিন্তু বিচলিত হবার কিছু নেই. ভারত টুর্নামেন্ট জয়ের অন্যতম ফেভারিট দল।  নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেশে ধবল ধোলাই এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে বর্ডার গাভাস্কার ট্রফি সমর্পন করে সাফল্যের জন্য বেপরোয়া হয়ে আছে. বাংলাদেশ পারে ২০০৭ স্মৃতি ফিরিয়ে আন্তে। যদি সেটাই হয় দারুন জমে উঠবে সদ্য শুরু হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি  ২০২৫।

প্রত্যশার পারদ এখন তুঙ্গে।  জয় পেলে উৎফুল্ল হবো কিন্তু লড়াই করলেই তৃপ্তি পাবো।  পরাজয়ে হতাশ হবো না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

11 − 4 =