ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে আনা হয়। এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।
অপরাজেয় বাংলায় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজিন আজিজ চৌধুরী, ইংরেজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সংগীত বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে মনজুরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ জোহর জানাজা শেষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মনজুরুল ইসলামকে দাফন করা হবে। সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ও সংগঠন।
শুক্রবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের জন্ম ১৯৫১ সালের ১৮ জানুয়ারি সিলেট শহরে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। পরে তিনি কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে আইরিশ কবি ডব্লিউ বি ইয়েটসের ওপর পিএইচডি করেন। পেশাগত জীবনে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরের পর তিনি ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউল্যাব) যোগ দেন।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম প্রবন্ধ, গল্প ও উপন্যাস লিখেছেন। বাংলা কথাসাহিত্যে নতুন ধারা সৃষ্টিকারী মনজুরুল ইসলাম সামান্য ঘটনাকেও অসামান্য করে তুলতে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। তাঁর ‘প্রেম ও প্রার্থনার গল্প’ বাংলা ১৪১১ সালে (২০০৫ সাল) প্রথম আলো বর্ষসেরা সৃজনশীল বইয়ের পুরস্কার পায়। তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে একুশে পদক পান।