ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস): রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে (২৮ অক্টোবর থেকে ২৭ নভেম্বর) ২৯ দিনে বিএনপি-জামায়াত শিবিরের অবরোধ- হরতালে দুর্বৃত্তরা ২১৮টি যানবাহন ও কয়েকটি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করেছে বলে জানিয়েছে ‘দি লাইফ সেভিং ফোর্স বাহিনী।’
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন নির্বাপণে ঢাকাসহ সারাদেশে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৩৫৬টি ইউনিট ও ১ হাজার ৯৬৩ জন জনবল কাজ করেছে। এখন পর্যন্ত এসব ঘটনায় দু’জন ফায়ার ফাইটার ও তিনজন যাত্রীসহ ৫ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান শিকদার বাসস’কে জানান, রোববার সকাল ৬টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দুর্বৃত্তরা ১০টি যানবাহনে আগুন দিয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা সিটিতে ১টি, নওগাঁয় ১টি, কিশোরগঞ্জ ১টি, খাগড়াছড়ি ১টি, দিনাজপুর ১টি, রাজশাহী ১টি, নাটোর ৩টি ও সিলেটে ১টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় ৫টি বাস, ৪টি ট্রাক ও ১টি কাভার্ড ভ্যান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ সময় আগুন নির্বাপণ করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৫ ইউনিট ও ৭৫ জন জনবল কাজ করে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে, তারমধ্যে রোববার রাত ৭টা ৪৮ মিনিটে রাজধানী যাত্রাবাড়ীর কাজলায় হানিফ ফ্লাইওভারের নীচে ‘মৌমিতা’ পরিবহনের ১টি বাসে আগুন দেয় তারা। একই দিন রাত ১১টা ৪০মিনিটে নওগাঁর মহাদেবপুর বাজার এলাকায় ‘রাহি’ পরিবহনের ১টি বাসে, রোববার মধ্যরাত ও আজভোরে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর ফায়ার স্টেশনের সামনে ১টি ট্রাকে, খাগড়াছড়ির জালিয়ারপাড়ায় ১টি ট্রাকে, দিনাজপুরের বীরগঞ্জের মোহাম্মদপুরে ১টি ট্রাকে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার মতিহারে ১টি ট্রাকে, নাটোর জেলার বনপাড়ার মহিষাভাঙ্গায় ‘ডি এন ট্রাভেলস’-এর ৩টি বাসে এবং আজ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালবাজারে ১টি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতারীরা।
ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যানে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে ১৮৩ টি। এরপর দিন ২০ নভেম্বর পর্যন্ত তার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৯৫টিতে।
সূত্র জানায়, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত বিগত ২৪ দিনে উচ্ছৃঙ্খল জনতা দিনে গড়ে ৭টি করে যানবাহনে আগুন দিয়েছে। ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬১টি, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩৫টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।