অবশেষে রাশিয়ায় আম রপ্তানি হলো

রাশিয়ায় এবারই প্রথম বাংলাদেশি আম রপ্তানি হলো । এতে করে আম রপ্তানির নতুন দ্বার উম্মোচন হলো। রাশিয়ায় আমের প্রথম চালানটি পৌঁছে ২৭ আগস্ট। শনিবার সকালে এয়ার আরাবিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানিকারক এমটিবি অ্যাগ্রো অ্যান্ড গার্ডেন রাশিয়ায় আম পাঠান।

বাংলাদেশ ফল সবজি অ্যালাইড প্রোডাক্ট এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও রাশিয়ায় আম রপ্তানিকারক মাহতাব আলী জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নাজিম উদ্দিনের ম্যাংগো প্রজেক্ট থেকে তিনি আম সংগ্রহ করেছেন।  রাশিয়ার ন্যাশনাল ইলেক্ট্রিক এলএলসি বাংলাদেশ থেকে গৌড়মতি ও কাটিমন আম আমদানি করল।

এমটিবি অ্যাগ্রো অ্যান্ড গার্ডেনের স্বত্ত্বাধীকারী মো. মাহতাব আলী জানান, তিন বছর চেষ্টার পর এবার আমের শেষ মৌসুমে তিনি রাশিয়াতে আম পাঠাতে পারলেন। এটা ছিল অনেটা সম্মিলিত প্রচেষ্টা।

বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্স কাউন্সেলর মোল্লা সালেহিন সিরাজ ও প্রাক্তন ডিফেন্স এটাচে এয়ার কমোডোর শাহনেয়াজের একান্ত চেষ্টাতেই এ রপ্তানি সম্ভব হয়েছে। মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাস এ ব্যাপারে বেশ সক্রিয় ছিল। তবে রাশিয়ার ন্যাশনাল ইলেক্ট্রিক এলএলসি’র জেনারেল ডাইরেক্টর সাত্তার মিয়া মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।

আমের গুণাগুণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মাহতাব আলী বলেন, কয়েকটি নামী-দামি স্থানীয় শপিংমল ও কোম্পানিতে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর আম বাজারজাত করে আমি একটি ব্র্যান্ড ইমেজ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। এমটিবি অ্যাগ্রো অ্যান্ড গার্ডেন  উন্নত এবং দৃষ্টিনন্দন প্যাক করছে যা আকর্ষণীয় এবং উপহার দেওয়ার জন্য উপযুক্ত। আম রপ্তানির জন্য নতুন গন্তব্য অন্বেষণ এবং সারা বিশ্বের মানুষের কাছে বাংলাদেশের আম পরিচিত করার জন্য তার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার আম আমদানি নীতিমালা অনুযায়ী, জয়দেবপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পেস্টিসাইড অ্যানালাইটিক্যাল ল্যাবরেটরির কীটতত্ত্ব বিভাগে আম পরীক্ষা করিয়ে পরীক্ষার রিপোর্ট সহ কিছু নমুনা আম গত বছর রাশিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছিলাম। সেখানে তারা তাদের পরীক্ষাগার  অ্যাগ্রোকেমিক্যাল সার্ভিসের সার্টিফিকেশন সেন্টার এবং এনভায়রনমেন্টাল মনিটরিং আমাদের নমুনা আম পরীক্ষা করেছে।

বাংলাদেশের নমুনা আম পাঁচ বছরের জন্য টেকনিক্যাল রেগুলেশনের প্রয়োজনীয় শর্ত মেনে রাশিয়াতে রপ্তানির জন্য যোগ্য  প্রমাণিত হয়। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে আমরা আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাশিয়ায় আম রপ্তানি করতে পারব।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

nine + 13 =