অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার তামিমের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলেন তামিম ইকবাল খান। তবে তিনি এখনই দলের সাথে যোগ দিচ্ছেন না। চিকিত্‌সা ও বিশ্রমের শেষে দেড় মাস পর তিনি দলের সাথে যোগ দেবেন।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। হতভম্ব দেশের ক্রিকেট মহল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) তার সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়। পরে তামিমকে বুঝাতে গণভবনে ডেকে পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার তার সঙ্গে আলাপের পর অবসর ভেঙে মাঠে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার।

গণভবনে দুই ঘণ্টা ধরে বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এই কথা জানান তামিম। সঙ্গে ছিলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যস্থতায় আবারও তামিম জাতীয় দলে ফেরার ঘোষণা দিলেন। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে তাকে দেখা যাবে না। মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট হতে দেড় মাসের মতো ক্রিকেটের বাইরে থাকবেন তিনি, এমনটা জানান পাপন।

শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে গণভবনে যান বিসিবি প্রধান পাপন। তামিম তার স্ত্রী ও মাশরাফির সঙ্গে অবসরের ইস্যু নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে, সকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছেন তামিম। এরপর সোয়া ছয়টার দিকে গণভবন থেকে বের হয়ে তামিম অবসর থকে সরে আসার কথা জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন।

তামিম বলেন, ‘আমি সবাইকে না বলতে পারি কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে না। মাশরাফি ভাই আমাকে এখানে এনেছেন আমাকে, পাপন ভাইও আমার সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন।’

কিন্তু ক্রীড়া বিশ্লেকরা তামিমেম অবসরে যাওয়ার ঘোষনার পরও ৪৮ ঘন্টায় তার সাথে বিসিবির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করতে না পারার বিষয়কে ভালোভাবে নিচ্ছেন না। সূত্রগুলো বলছেন, সাবেক ক্যাপটেন শারফারির মধ্যস্থতায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে তামিম তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

5 − three =