অলীন বাসার এর নতুন উপন্যাস ‘বল্টুদের দেয়াল ঘড়ি’

বল্টু বিল্টু যমজ ভাই। তবে চেহারা একরকম নয়। একজন স্বাস্থ্যবান তো অন্যজন পাতলা। বিল্টু শান্ত। বল্টু দুষ্টু। বল্টু গুলতি ছোড়ায় দক্ষ। তাদের দাদু প্রায় পাগল, ঘরে বন্দি থাকেন। সেই ঘরে একটা পুরনো দিনের দেয়াল ঘড়ি আছে। অনেক দামি ঘড়ি। নিলামে কেনা কোনো এক রাজার ঘড়ি।

দাদু সব সময় বলতে থাকেন, ঘড়ির সাথে ধ্বংস হবে পৃথিবী। বাড়ির সবার মায়া জড়ানো এই ঘড়িতে। ছলচাতুরি করে ঘড়িটা নিয়ে যায় হাবু ডাকাত। সাথে অপহরণ করে বল্টু বিল্টুকেও। বল্টু বিল্টুর বুদ্ধির প্রশংসা আছে বাড়িসহ গ্রামেও। সেই বুদ্ধি কী ঘড়ি উদ্ধারে কাজে লাগবে? নিজেদের জীবন কী বাঁচাতে পারবে তারা?

এমন নানা প্রশ্নের উত্তর মিলবে অলীন বাসার এর বল্টুদের দেয়াল ঘড়ি উপন্যাসে। সুন্দর ঝরঝরে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে এর পটভূমি। ছোট বড় সকলের ভালো লাগবে। বল্টুদের দেয়াল ঘড়ি এর প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। ভেতরে অলংকরণ করেছেন শেহরীন আহমেদ ইরিনা ও ফেরদৌস আরা কাশফিয়া। বিশ্ব সাহিত্য ভবন থেকে প্রকাশিত বইয়ের দাম রাখা হয়েছে তিনশত টাকা।

অলীন বাসার এখন উপন্যাস লিখছে, নিয়মিত। সেই ছোট বয়সে লেখালেখি শুরু করা লেখক সে।খুদে লেখক হিসেবে সমধিক পরিচিত। ২০১৫ সালে যখন তার প্রথম বই প্রকাশ হয় তখন সে প্রথম শ্রেণির ছাত্র। বয়স তখন সাত।আর গল্প লেখা শুরু ছয় বছর বয়স থেকে।

এপর্যন্ত তার ১১টি বই প্রকাশ হয়েছে। তার প্রথম বই যখন প্রকাশ হয় তখন সে প্রথম শ্রেণীর ছাত্র, তখন বয়স সাত। আর গল্প লেখা শুরু ছয় বছর বয়স থেকে। প্রথম বই প্রকাশ হয় ২০১৫ সালে।

২০০৮ সালের ২২শে মে, সাতক্ষীরায় তার জন্ম। বর্তমানে আইডয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিলের দশম শ্রেণির ছাত্র। ‘বল্টুদের দেয়াল ঘড়ি’ উপন্যাস হিসেবে দ্বিতীয় বই। প্রথম উপন্যাস ছিল ‘নীল রত্নের রাজ্যে মিনু ‘ (২০২৩)। অন্যগুলো গল্প সংকলন।

অলীন বাসারের প্রকাশিত অন্য বইগুলো হল, অন্ধকারে ভূতের ছায়া (সাঁকোবাড়ি প্রকাশন ২০১৫); ভুতুড়ে (সাঁকোবাড়ি প্রকাশন ২০১৬); ভুতুম (সাঁকোবাড়ি প্রকাশন ২০১৭); ভূতের টিউশনি (জ্ঞান বিতান ২০১৮); পালোয়ানের হার (ঘাসফড়িং ২০১৮); গোরস্তানে বিয়ে (সাম্প্রতিক ২০১৯); বিড়াল পণ্ডিত (ঘাসফড়িং ২০১৯); বাঘের গর্জন (ঘাসফড়িং ২০২০); কালো ঘোড়া (পাঞ্জেরি ২০২০); পেটুক শিয়াল (ঘাসফড়িং প্রকাশনি ২০২১) এবং চক্র (পালক প্রকাশনি, ২০২২)।

এসব প্রত্যেক বইতে অনেক গল্প দিয়ে সাজানো। অপ্রকাশিত গল্প এখনও শতাধিক। নতুন গোয়েন্দা সিরিজ লিখছে। এই সিরিজের ১৬টা বই লেখা ইতিমধ্যে শেষ। এগুলো এখনও প্রকাশ হয়নি।গল্প লেখা আর দেশ বিদেশের বিভিন্ন লেখকের বই পড়া তার এখন নিত্য দিনের কাজ। স্কুলের পড়াশোনাও চলছে সমান তালে। করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এর ২ দিনের সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা এবং রয়টার্স এর ডিজিটাল জার্মালিজম কোর্স (অনলাইনে)।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

12 + sixteen =