সমাজের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে গল্প লিখেছেন অলীন বাসার। তার সেইসব গল্পগুলো নতুন বই ধর্মব্যাধিতে স্থান পেয়েছে।অসঙ্গতিগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে সুন্দরভাবে। কিছুটা মজা করে। ছোট ছোট বাক্যে। কল্পনা আর বাস্তবতার মিশ্রণ আছে এতে।
ধর্মব্যাধি বইয়ে আছে ১৭টি গল্প। প্রতিটি গল্পে আছে নতুন গল্প। একটার সাথে আর একটার মিল নেই। সবই এই সমাজের চিত্র। দৈনন্দিন জীবন যাপনে আমরা যা করতে চাই না, কিন্তু অহরহ করতেই থাকি, সেগুলোই বলার চেষ্টা করা হয়েছে গল্পগুলোতে।
বিশ্ব সাহিত্য ভবন থেকে প্রকাশিত ধর্মব্যাধি বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন নাফিস ইফতেখার। দাম দুইশত টাকা।
প্রথম গল্পের নাম ‘ওয়িং স্কেল’। ব্যবসায়ী মুখোমুখি হন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার। স্বপ্নে দেখা সেই ঘটনার প্রতিফলন ঘটে বাস্তব জীবনে? পরের গল্প ‘ধর্মব্যাধি’। সমাজে ধর্মকে পুঁজি করে চলতে থাকা মানুষের খুব সামান্য একটা, খুবই ছোট একটা উদাহরণ দেওয়া হয়েছে এখানে।
সমাজে অবহেলিত নারীর অবহেলা পাওয়ার চিত্র আঁকা হয়েছে ‘দেবতার শিল্প’ গল্পে। ‘প্রতিমার খুঁত’ গল্পে নারী নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বাবা মায়ের কঠিন শাসন শিশু মনে কেমন প্রভাব ফেলে তা তুলে ধরা হয়েছে ‘দোয়া’ গল্পে।
এভাবে প্রতিটা গল্পে এখনকার ভিন্ন ভিন্ন চিত্র, পরিবেশ, পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
ছোট বয়সেই ছোটদের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে অলীন বাসার এর লেখা উৎসাহ যুগিয়েছে। তার আগের গল্পগুলোর প্রতিপাদ্য ছিল ‘ভয় নয় আনন্দ’। ভূত নিয়ে গল্প লিখলেও বাচ্চাদেরকে সে ভয় দেখায়নি। বরং আনন্দ দিয়েছে। ভূত ভয় না দেখিয়ে বন্ধু হয়ে উপকার করেছে।
তার রূপকথার গল্পগুলোও ছিল ভিন্ন ধরনের। এখন সব বয়সী মানুষের জন্য লিখছে অলীন।
২০১৫ সালে যখন অলীন বাসার এর প্রথম বই প্রকাশ হয় তখন সে প্রথম শ্রেণির ছাত্র। বয়স তখন সাত। আর গল্প লেখা শুরু ছয় বছর বয়স থেকে।
শিশু-কিশোর ছাপিয়ে সকল পাঠকের জন্য এবার অলীন লিখেছেন ধর্মব্যাধি। উপন্যাস, গল্প সংকলনসহ এপর্যন্ত তার ১৪টি বই প্রকাশ হয়েছে।