বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়ক উত্তমকুমারের স্মরণে ২০১১ সাল থেকে প্রতিবছর প্রদান করা হয় ‘মহানায়ক সম্মান’। এ বছর মহানায়ক সম্মান পেয়েছেন অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি ও সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। ২৪ জুলাই উত্তমকুমারের ৪৪তম প্রয়াণ দিবসে তাঁদের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নচিকেতার হাতে মহানায়ক সম্মান দেখে অনেকেই সমালোচনা শুরু করেন। সংগীতশিল্পী হয়ে কীভাবে নচিকেতা এই সম্মাননা পেলেন! তৈরি হয় বিতর্ক। চুপ করে বসে থাকেননি নচিকেতা। সমালোচনাকারীদের অশিক্ষিত বলার পাশাপাশি জানালেন, তাঁকে দিয়ে শুরু হলো নতুন ট্রেন্ড।
গতকাল শুক্রবার ফেসবুকে নচিকেতা লেখেন, ‘মহানায়ক সম্মান কেবল অভিনয়ের পুরস্কার নয়। মহানায়ক মানে অভিনেতা মহানায়ক নন। মহানায়কের সম্মানে আমায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে আমার গোটা জীবনের কাজের জন্য। এটা আমার কাছে বড় প্রাপ্তি। কাউকে যদি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়, তাকে কি বিজ্ঞানী হতে হবে? কিছু অশিক্ষিত মানুষ অনেক রকম কথা বলছেন। তাঁদের বুঝতে হবে, আমিও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির লোক। অন্তত ১২টা ছবিতে মিউজিক করেছি। তাহলে আমি কি সেই পুরস্কারটা পেতে পারি না? মহানায়ক পুরস্কার পাওয়ার জন্য আমাকে অভিনেতা হতে হবে, এটা কোথায় লেখা আছে?’
নচিকেতার মাধ্যমেই নতুন ট্রেন্ড তৈরি হলো জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘ধরে নিন না, আমায় দিয়েই শুরু হলো মহানায়ক সম্মান অভিনয়ের বাইরের শিল্পীদের দেওয়া। এরপরে অন্য সংগীতশিল্পীরা পাবেন, পরিচালকেরা পাবেন। আর অভিনয়ের বাইরেই বা বলি কী করে? গানে অভিনয় নেই? আমার ভালো লাগছে, এটা একটা ট্রেন্ড তৈরি হলো। আমি নিজেই একজন ট্রেন্ডসেটার। আমায় দিয়েই তো ট্রেন্ড তৈরি হয়। অন্য কেউ মহানায়ক সম্মান পেলে এত লেখালেখি হতো বলে মনে হয় না। কতগুলো অশিক্ষিত লোক বলাবলি করছে, নচিকেতা মহানায়ক পুরস্কার কেন পেল? ও তো অভিনয়ই করে না। আসলে আমার জনপ্রিয়তা এখনো ৩১ বছর আগের মতোই রয়েছে। আমায় নিয়ে লিখলে ওদের টিআরপি বাড়ে।’
গতকাল বাংলাদেশে একক কনসার্ট করার কথা ছিল নচিকেতার। তবে দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠানের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।