সালেক সুফী
নির্ভরযোগ্য সূত্রে শুনলাম জানলাম অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষা সফরে আসছে বাংলাদেশের ক্রিকেট কর্মকর্তারা। বিশ্ব ক্রিকেটের তিন প্রধানের অন্যতম অস্ট্রেলিয়া। আইসিসি বিশ্বকাপ জিতেছে ৬ বার, টি২০ এবং টেস্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দুই যুগ অধিক সময় ক্রিকেটের কুলিন পরিবারের সদস্য হলেও একবারও কোন পর্যায়ে শিরোপা জয় করেনি বাংলাদেশ। দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও জয়ের দেখা মেলে কালে ভদ্রে।
সবাই জানে ঘরোয়া মান, অবকাঠামো শীর্ষস্থানীয় দলগুলো দূরের কথা দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলো থেকেও অনেক পিছিয়ে। এমতাবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার মত সমৃদ্ধ দেশ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের শেখার আছে অনেক কিছু। কিন্তু সেই শিক্ষাগুলো পেতে হলে স্বল্পমেয়াদে গ্রাউন্ডসম্যান, কিউরেটর, আম্পায়ার, ক্রিকেট অবকাঠামো নির্মাণ কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলী, স্থাপত্যবিদ এবং দীর্ঘমেয়াদে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটার প্রেরণ যথাযথ হবে।
বিশস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি বিসিবির কয়েকজন পরিচালক আসবেন শিক্ষা সফরে অস্ট্রেলিয়ায়। জানি এদের অনেকের বিষয়েই ক্রিকেট মহলে নানা বিতর্ক নানা অভিযোগ আছে। দীর্ঘদিন ক্রিকেট পরিকল্পনা এবং পরিচালন কাজে যুক্ত থেকেও ক্রিকেটের গুণগত মানের আদৌ উন্নয়ন ঘটেনি। বাদ বিচার না করে ক্রিকেট পরিচালকদের অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষা সফরে প্রেরণ করলে সফরটি প্রমোদ ভ্রমণে পরিণত হবে।
২০০৫ থেকে ২০২৪ প্রায় দুই দশক অস্ট্রেলিয়ায় থাকার সুযোগে মেলবোর্ন এবং ব্রিসবেনে বিভিন্ন পর্যায়ের ক্রিকেট দেখার এবং জানার সুযোগ হয়েছে। ৫-৭ বছর, ৭-১০ শিশুদের ক্রিকেট শিক্ষা, ক্রিকেট একাডেমির কার্যক্রম, অপেশাদার এবং পেশাদার ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি।
ক্রিকেট মৌসুমে নিয়মিত খেলা দেখি। খেলোয়াড়, ক্লাব কর্মকর্তা, সংগঠক, ক্রিকেট অনুরাগীদের সঙ্গে আলোচনা করি। আমি মনে করি অস্ট্রেলিয়া সরকার বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সহায়তা প্রধান বিষয়ে অনেক আন্তরিক। এমতাবস্থায় আলোচিত ক্রিকেট সফরে বিসিবি পরিচালকদের না পাঠিয়ে বিষয় বিশেষজ্ঞদের পাঠানো যথাযথ হবে।