‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ প্রথম ছবি হিসেবে ইতিহাসের সবচেয়ে কম সময়ে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করার বিশ্বরেকর্ড গড়েছে সিনেমা হলগুলোতে। ভ্যারাইটি জানিয়েছে, ছবিটি সব হল থেকে মোট আয় করেছে ১.০২৫ বিলিয়ন বা ৪শ ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
হলিউডের নতুন যুগের সূচনা করা প্রযুক্তিভিত্তিক সিনেমার অন্যতম প্রধান পুরুষ জেমস ক্যামেরনের নতুন ছবিটি হলো এই অ্যাভাটার সিরিজের নব পর্ব, নতুন আয়োজন। মোটে ১৪ দিনে তার বিশ্ব কাঁপানো অ্যাভাটার সিরিজের এই নব কাহিনী বিশ্বরেকর্ডটি গড়ল সিনেমা ভুবনে।
এই বছরের একেবারে শেষে বেরিয়ে, বড়দিনের মধ্যে সবার মনে ভালোবাসা, আগ্রহ, আতঙ্ক, তুমুল উত্তেজনা এবং লড়াই ছড়িয়ে বক্স অফিসের মাইলস্টোন পেরিয়ে গেল ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার।’
সিনেমাটির এত আয়ের পেছনে অবশ্যই বড়দিন একটি বিরাট ভূমিকা রেখেছে। অবিশ্বাস্য এই সিনেমা গভীর ভালোবাসার একটি ধারাবাহিক গল্প।বিশ্বে এ বছর কেবল তিনটি ছবি বিলিয়ন ডলার আয় করার রেকর্ড গড়তে পেরেছে। প্রথমটি হলো হলিউডের সর্বকালের অন্যতম সেরা নায়ক টম ক্রুজের নতুন সিনেমা ‘টপ গান: মেভেরিক’। ৬০ বছরের টম ক্রুজের ছবিটি ৩১ দিনে বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে গিয়েছে।
পরের ছবিটি হলো ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ডোমিনিয়ন’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন কলিন ট্রুভোরো। তিনি ‘জুরাসিক পার্ক’ সিরিজের ছবিগুলোর ধারাবাহিক জুরাসিক ওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে প্রধান পরিচালকদের কাতারে এসেছেন। জুরাসিক পার্ক ক্যামেরনের আজীবনের প্রতিদ্বদ্বী স্টিফেন স্পিলবার্গের অমর সিরিজ। চার বছর পর নতুন বেরুনো ডাইনোসরদের জগতের এই গল্প চার মাসে বিলিয়ন ডলার ক্লাবে ঢুকেছে।
তবে গেল বছর ‘স্পাইডার ম্যান’ সিরিজের নতুন সিনেমা ‘স্পাইডার ম্যান : নো ওয়ে’ হোম ১২ দিনে বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের রেকর্ড গড়েছে। ইতিহাসের মোটে ছয়টি সিনেমা ১৪ দিন বা দুই সপ্তাহের মধ্যে বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন সিনেমা সাংবাদিকরা।
সেখানে আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে জেমস ক্যামেরনের নতুন লড়াই-‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ উত্তর আমেরিকা বা লাতিন দেশগুলোতে, তাদের বিশ্বকাপ ফুটবলের মধ্যেই আয় করতে পেরেছে ১৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন তার জয়রথ চলছে ফুটবল অন্তপ্রাণদের দেশে, দেশে; আমাজনের ভুবনে।
এই ছবিটির জন্য জেমস ক্যামেরন আনুমানিকভাবে সাড়ে ৩শ মিলিয়ন বাজেট খরচ করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে এর মধ্যে সিনেমাটির ১ মিলিয়ন বিপণন ও প্রচার খরচ রাখা হয়নি। সেই টাকা এখন তিনি ব্যয় করে চলেছেন। ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করতে পারলে ছবিটি তার খরচ তুলে আনতে পারবে।
এক দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করতে পারলে লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা জাগাতে পারবে ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। বিশ্বকাপের বিশ্ব আসর শেষ বলে, এখন অ্যাভাটার সিরিজের তুমুল উত্তেজনার পর হলে আসা ছবিটি তার বিশ্বজয়ের যাত্রা শুরু করল মাত্র। কতদিন এই জয়রথ চলবে একমাত্র সিনেমাটিই বলতে পারে।