অ্যাভেঞ্জার্সের নতুন ভিলেন রবার্ট ডাউনি

পাঁচ বছর পর মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সে (এমসিইউ) আবারও হাজির হচ্ছেন হলিউড তারকা রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। ২০০৮ সালে ‘আয়রন ম্যান’ দিয়ে এমসিইউর সঙ্গে যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর। পরবর্তী প্রায় এক যুগ ধরে আরও ৯টি সিনেমায় আয়রন ম্যান বা টনি স্টার্ক হিসেবে পর্দা কাঁপান ডাউনি। এসব সিনেমা থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেন। ২০১৯ সালে শেষ হয় ডাউনির মার্ভেল অধ্যায়। ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ড গেম’-এর কাহিনিতে পৃথিবীকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর অভিনীত চরিত্রটি মারা যায়। শেষ হয় মার্ভেলের সঙ্গে ডাউনির যাত্রা।

তবে পাঁচ বছর পর আবারও মার্ভেলের দুনিয়ায় ফেরত আনা হচ্ছে তাঁকে। ২৭ জুলাই রাতে যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়াগোতে আয়োজিত কমিক-কন উৎসবে ঘোষণা করা হয়, অ্যাভেঞ্জার্স সিনেমায় ফিরছেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। অ্যাভেঞ্জার্স সিরিজের নতুন দুই সিনেমায় দেখা যাবে তাঁকে।

একটি ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে’, মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের মে মাসে, অন্যটি ‘অ্যাভেঞ্জার্স: সিক্রেট ওয়ারস’, মুক্তি পাবে ২০২৭ সালের মে মাসে। ৫৯ বছর বয়সী ডাউনিকে এ দুই সিনেমায় আয়রন ম্যান হিসেবে পাওয়া যাবে না। তিনি হাজির হবেন গল্পের প্রধান ভিলেন ডক্টর ডুম চরিত্রে।

বড় সিনেমার বড় খবর। তাই ঘোষণাটিও দেওয়া হয় নাটকীয়ভাবে। কমিক-কনের মঞ্চে তখন কেভিন ফেজ ও রুশো ব্রাদার্স। কেভিন ফেজ বলছেন, ‘কমিকসের দুনিয়ার সবচেয়ে জটিল চরিত্র ডক্টর ডুমকে যদি আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই, তাহলে আমাদের দরকার হবে এই অভিনেতাকে।’ বলেই পাশে সরে দাঁড়ালেন। তাঁদের পেছনে জলপাই রঙের বস্ত্র আচ্ছাদিত ও লোহার মুখোশ পরা দুই ডজন মানুষ। তাঁদের ভেতর থেকে সবুজ রঙের ওভারকোট ও ডক্টর ডুমের মুখোশ পরে বেরিয়ে এলেন একজন। মুখোশ খুলতেই দেখা গেল, এ আর কেউ নন, স্বয়ং রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। সঙ্গে সঙ্গে দর্শকের চিৎকার ও করতালিতে মুখর হলো কমিক-কনের আঙিনা। মুখোশ হাতে ডাউনি উচ্চারণ করলেন মাত্র একটি বাক্য, ‘নিউ মাস্ক, সেম টাস্ক’।

ডুমসডে ও সিক্রেট ওয়ারস দিয়ে মার্ভেলের দুনিয়ায় শুধু যে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র ফিরছেন তা নয়, প্রত্যাবর্তন হচ্ছে পরিচালক জুটি রুশো ব্রাদার্সেরও। সিনেমা দুটি পরিচালনা করবেন তাঁরা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

19 − three =